(বাঁ দিকে) শিন্ডেসেনা নেতার পুত্র মিহির শাহ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
নিয়মিত মদ্যপান করতেন। পুলিশের কাছে নিজের অভ্যাসের কথা স্বীকার করলেন মুম্বইয়ের বিএমডব্লিউ-কাণ্ডে ধৃত মিহির শাহ। সূত্রের খবর, ২৪ বছর বয়সি মিহিরকে প্রায়ই জেলে গিয়ে জেরা করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। জেরার মুখেই নিজের মাদকাসক্তির কথা জানান মিহির।
গত ৭ জুলাই ভোরে বিএমডব্লিউ চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় একটি স্কুটারকে ধাক্কা মারেন মিহির। সেই স্কুটারের আরোহী কাবেরী নাকওয়ারকে পিষে দেন। তার পরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান মিহির। প্রায় ৭২ ঘণ্টা গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর নাটকীয় ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিহিরের বাবা একজন রাজনীতিবিদ। তাঁর বাবা শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে শিবির) নেতা রাজেশ শাহকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যদিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যান তিনি। তবে দলের সব পদ থেকে রাজেশকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে মিহিরকে। ঘটনার দিন ভোরে এবং তার আগের দিন রাতে ঠিক কী কী করেছিলেন মিহির, তা জানতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারেরা জানতে পারেন, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন মিহির। বিএমডব্লিউ-এর সামনে সাঁটানো শিবসেনা দলের স্টিকার তুলে দেন তিনি। এমনকি, নিজের পরিচয় গোপন করতে চুল কেটে, দাঁড়িও কামিয়ে ফেলেছিলেন মিহির। পুলিশ সূত্রে খবর, যে সেলুনে মিহির দাঁড়ি কামান, সেই দোকানের নাপিতকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন মিহির। আগের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে জুহুর একটি বারে বসে মদ্যপান করেছিলেন তিনি। তিন বন্ধু মিলে হুইস্কির ১২টি বড় পেগ শেষ করেছিলেন। আবগারি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, তিন বন্ধু মিলে ১২ পেগ হুইস্কি শেষ করার অর্থ, এক এক জন প্রায় চার পেগ করে হুইস্কি খেয়েছিলেন শনিবার রাতে। এই পরিমাণ হুইস্কি খেলে যে কেউ অন্তত আট ঘণ্টা মত্ত অবস্থায় থাকেন। ওরলিতে বিএমডব্লিউ দুর্ঘটনাটি এই সময়ের মধ্যেই ঘটেছিল। ফলে দুর্ঘটনার সময়ে মিহির যে মত্ত অবস্থাতেই ছিলেন তাতে সন্দেহ নেই বলে দাবি পুলিশ এবং আবগারি আধিকারিকদের।