জোট থাকছেই, ঘোষণা মায়ার

গোরক্ষপুর ও ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মায়াবতীর সমর্থনে সপা জিতলেও রাজ্যসভায় বিএসপি প্রার্থীকে জেতাতে পারেননি অখিলেশ যাদব। তাতে রাগ তো নয়ই, স্নেহের সুরে মায়া বলেছেন, অখিলেশের ‘তজুরবা’-র অভাব রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৪:৩৪
Share:

২০১৯-এর লোকসভা ভোটেও জোটেরই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন মায়াবতী।

শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশে জয়ের হাসি শনিবার বিকেল পর্যন্তও স্থায়ী হল না। সপা-বিএসপি জোট ভাঙতে অমিত শাহের চাল মুখ থুবড়ে পড়ল কি না, প্রশ্ন উঠে গেল। জোট ভাঙা তো দূর, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটেও জোটেরই স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন মায়াবতী।

Advertisement

গোরক্ষপুর ও ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মায়াবতীর সমর্থনে সপা জিতলেও রাজ্যসভায় বিএসপি প্রার্থীকে জেতাতে পারেননি অখিলেশ যাদব। তাতে রাগ তো নয়ই, স্নেহের সুরে মায়া বলেছেন, অখিলেশের ‘তজুরবা’-র অভাব রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে।

জোড়া উপনির্বাচনে হারের বদলা নিতে রাজ্যসভায় মায়াবতীর প্রার্থীকে হারাতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথেরা। উদ্দেশ্য ছিল, দলে মনোবল ফেরানো। এবং ‘পিসি-ভাইপো’-র সম্পর্কে অবিশ্বাসের বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া। জোটে ভাঙন ধরাতে যোগী মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘সপা শুধু নিতে জানে। দিতে জানে না।’’

Advertisement

মায়াবতী আজ মেনে নিয়েছেন যে, বিএসপি প্রার্থীকে জেতাতে অখিলেশের আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তার পরেই বিজেপির চেষ্টায় জল ঢেলে তিনি বলেন, ‘‘সপা-বিএসপির বাঁধন আলগা করার চেষ্টা সফল হবে না।’’ এমনকী কংগ্রেসের জন্যও দরজা খোলা রাখার কথা বলে হাসতে হাসতে তাঁর মন্তব্য, ‘‘জানি, বিজেপি নেতাদের এই কথা শুনে কষ্ট হবে।’’ মায়ার জোট-বার্তার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেন: ‘মায়াবতীজির মতকে স্বাগত জানাই। ওঁর এবং অখিলেশের এই মিশনে আমি পাশে রয়েছি।’

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া লোকসভা আসনে হার বিজেপির ত্রিপুরা-জয়ের বেলুন চুপসে দিয়েছিল। সেই কারণেই রাজ্যের রাজ্যসভা ভোটে মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি। ভোটের ফল বলছে, অরুণ জেটলি-সহ বিজেপির আট জন ৩৯টি করে ভোট পেয়েছেন। সপা-র জয়া বচ্চন ৩৮টি ভোট পেয়েছেন। কিন্তু বিএসপির ভীমরাও অম্বেডকর প্রয়োজনীয় ৩৭টির বদলে ৩২টি প্রথম পছন্দের ভোট পেয়ে হেরে যান। বিজেপি বিধায়কদের দ্বিতীয় পছন্দের ভোট জিতিয়ে দেয় দলের প্রার্থী অনিল অগ্রবালকে।

বিএসপি ও সপা-র এক জন করে বিধায়ক বিজেপি-কে ভোট দিয়েছেন। দু’দলেরই এক জন করে বিধায়ক জেলে থাকায় ভোট দেওয়ার অনুমতি পাননি। যে কারণে আজ বিএসপি নেতৃত্ব বিজেপির বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কাজে লাগানো ও টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন।

একই সঙ্গে মায়াবতী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘লোকসভা উপনির্বাচনে মানুষ সরাসরি ভোট দেয়। তার সঙ্গে রাজ্যসভার তুলনা চলে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement