আরুষি হত্যা কাণ্ডে তলোয়ার দম্পতিকে বেকসুর খালাস করেছিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছে সিবিআই।
আরুষি হত্যা মামলায় ফের তদন্ত শুরু করতে পারে সিবিআই! আরুষি হত্যা রহস্যের মোড় অন্য দিকেও ঘুরে যেতে পারে। কারণ, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হওয়া তলোয়ার দম্পতির বিরুদ্ধে আরও প্রমাণ জোগাড় করে এ বার মাঠে নামতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চলতি বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। শুক্রবার সেই আবেদন গ্রহণ করল তিন বিচারপচির বে়ঞ্চ।
২০১৩ সালে আরুষি হত্যা মামলায় তলোয়ার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে সিবিআই আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করেন রাজেশ ও নূপুর। ২০১৭ সালে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট বেকসুর খালাস করে দেয় তাঁদের।
এ দিন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, কে এম জোসেফ, নবীন সিংহের বেঞ্চ আবেদন গ্রহণ করার পাশাপাশি আরুষি হত্যা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তলোয়ার দম্পতিকেও নোটিস দিয়েছে। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সিবিআইয়েরও আগে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন আরুষি হত্যা কাণ্ডে মৃত হেমরাজের স্ত্রী। মামলার শুনানির সময় তাঁর কথাও শোনা হবে বলে তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দু’হাজার কোটি প্রতারণা, গ্রেফতার ভূষণ স্টিলের প্রাক্তন কর্তা নীরজ সিঙ্ঘল
২০০৮ সালের ১৬ মে নয়ডার জলবায়ু বিহারে নিজের বাড়িতে খুন হয় ১৩ বছরের আরুষি তলোয়ার। ঘরের ভিতর থেকে তার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় নিখোঁজ ছিলেন তলোয়ারদের পরিচারক হেমরাজ। দু’দিন পরে ওই বাড়িরই ছাদ থেকে হেমরাজের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, নিজের মেয়ে আরুষিকে খুন করেছেন রাজেশ তলোয়ার। হেমরাজকেও তিনিই খুন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। হেমরাজের সঙ্গে আরুষিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেই আক্রোশে রাজেশ তলোয়ার জোড়া খুন করেছেন বলে তদন্তকারীরা দাবি করেন। নূপুর তলোয়ারের বিরুদ্ধেও খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।
—ফাইল চিত্র।