দিল্লির পরে এ বার পঞ্জাবেও বড়সড় ভাঙন অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টিতে। নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে পাল্টা সমাবেশ করায় পাতিয়ালার সাংসদ ধর্মবীর গাঁধী ও ফতেগড় সাহিবের সাংসদ হরেন্দ্র সিংহ খালসাকে সাসপেন্ড করল আপের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
গত লোকসভা নির্বাচনে কেবল পঞ্জাব থেকেই চারটি আসন পেয়েছিল কেজরীবালের দল। তার পরে প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ বেরিয়ে যাওয়ায় দিল্লিতে আপ-এ বড়সড় ভাঙন ধরে। পঞ্জাবের দুই সাংসদ গোড়া থেকেই যোগেন্দ্র যাদবের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রাজ্য শাখার নির্দেশের তোয়াক্কা না-করে খেয়াল খুশি মতো চলার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছিল। আপ-এর পাঞ্জাব শাখার মুখপাত্র সচ্চা সিংহ ছোটেপুর শনিবার জানান, তাঁদের সুপারিশ মেনে দুই সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা কেজরীবাল। রাজ্যের শাসক জোট বিজেপি-অকালি-র সঙ্গে মাখামাখির অভিযোগ আনা হয়েছে দুই সাংসদের বিরুদ্ধে। ছোটেপুরের অভিযোগ, দলের নির্দেশ অমান্য করে শনিবার এই দুই সাংসদ অম়ৃতসরে একটি সভা করেছেন। তার পরেও তাঁদের শাস্তি না-হলে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হতো।