দিল্লির আবগারি মামলায় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতার। অর্থ তছরুপের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সঞ্জয়ের বাড়িতে দিনভর তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই আবগারি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। এ বার কেন্দ্রীয় সংস্থার জালে দলের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহও।
সকালে সঞ্জয়ের বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কেজরী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘গত এক বছর ধরে আবগারি দুর্নীতি নিয়ে অনেক কথা শুনছি আমরা। এত দিন ধরে এক হাজারেরও বেশি তল্লাশি অভিযান চলেছে। কিন্তু এখনও এক পয়সাও উদ্ধার হয়নি।’’ যদিও ইডির হাতে দলের নেতার গ্রেফতারির পর তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। সঞ্জয়ের গ্রেফতারির পর দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব আপকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আজ একটা বিষয় পরিষ্কার। সত্যকে লুকিয়ে রাখা যাবে না। সঞ্জয় সিংহের পর অরবিন্দ কেজরীওয়াল।’’
আবগারি দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দফায় দফায় প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি সিসৌদিয়াকে গ্রেফতার করছিল সিবিআই। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। তার পর থেকে একাধিক বার জামিনের আবেদন করেছিলেন সিসৌদিয়া। কিন্তু প্রতিবারই তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, আবগারি মামলায় জড়িয়ে পড়া ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সঞ্জয়ের নাম উঠে এসেছে। সাংসদের নাম ইডির চার্ডশিটেও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, নিজের রেস্তরাঁয় একটি পার্টিতে সঞ্জয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল ‘মিডলম্যান’ দীনেশের। এর পর বুধবার সকালে সঞ্জয়ের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। ১০ ঘণ্টার বেশি বাড়িতে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পরেই আপ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বছর গ্রেফতার হয়েছিলেন আরও এক আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁকে অবশ্য আবগারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়নি। সত্যেন্দ্র ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগে। সত্যেন্দ্র এবং মণীশ দু’জনের গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল কেজরীকে। দু’জনেই মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। কেজরী সেই সময় দাবি করেছিলেন, মিথ্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।