মাদক-বিরোধী প্রচারে যোগ দিতে গিয়ে মাথায় চোট পেলেন আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক অলকা লাম্বা। তাঁকে জখম করার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অলকা। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনায় জিতিন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত আজ ভোরে। উত্তর দিল্লির কাশ্মীরি গেট এলাকায় মাদক-বিরোধী এক প্রচারে গিয়েছিলেন অলকা। ভোর পাঁচটা নাগাদ মাদক-বিরোধী একটি মিছিল শুরু হয় ওই এলাকায়। অলকা জানিয়েছেন, যমুনা বাজার থেকে মিছিল শুরু হয়। তার পরে হনুমান মন্দিরের কাছে আমরা জড়ো হই। সাড়ে ছ’টা নাগাদ শিব মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নামে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা। তখনই কেউ একটা পাথর ছোড়ে।
সেটা এসে লাগে অলকার মাথায়। চাঁদনি চকের এই বিধায়কের অভিযোগ, ওই দোকানটির মালিক বিজেপি বিধায়ক ও পি শর্মা। আপের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সঞ্জয় সিংহ এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, তাঁর মাথা ফেটে রক্ত পড়ছে দেখে অলকাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সঞ্জয়ের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি বিধায়ক ও পি শর্মার ভূমিকা খতিয়ে দেখুক পুলিশ। কারণ যে দোকানটি থেকে অলকার মাথায় পাথর এসে লাগে, তার মালিক তিনিই। মাদক ব্যবসায় অনেক সময়েই দেখা যায় রাজনৈতিক নেতাদের হাত রয়েছে। স্থানীয় নেতাদের মদত ছাড়া মাদকের ব্যবসার রমরমা হয় না।’’ অন্য আপ নেতারা মনে করছেন, অলকা সরাসরি আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন না। মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছিল বলেই হয়তো এই হামলার ঘটনা ।
আঘাত লাগলেও অলকা জানিয়েছেন তিনি ওই মাদক-বিরোধী প্রচার থেকে সরে আসবেন না। তাঁর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন আপের প্রধান নেতা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।
বিজেপি অলকার উপরে হামলার ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছে, তাঁদের কোনও সদস্য এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। যদিও অলকার দাবি, ‘‘অনেক মাদক-পাচারকারীর স্বার্থে ঘা লাগছে। এমনকী ওই মিষ্টির দোকানও এর সঙ্গে জড়িত। এই এলাকায় অন্তত দু’হাজার লোক মাদক সেবন করেন।’’