মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। — ফাইল ছবি।
শিবসেনা উদ্ধব শিবিরের অন্যতম নেতা আদিত্য ঠাকরে দাবি করলেন, ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে। ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে যাওয়া আদিত্যের নয়া দাবির প্রেক্ষিতে নতুন করে দানা বাঁধছে জল্পনা। তাহলে কি মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী বদল হতে চলেছে?
আদিত্য বলেন, ‘‘আমি শুনেছি, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে এবং সরকারেও বেশ কিছু বদল আসছে বলে শুনছি।’’ এর পরেই অবশ্য আদিত্যের মুখে শোনা যায় বিজেপির কড়া সমালোচনা। তিনি বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে অত্যন্ত নিম্নস্তরের রাজনীতি চলছে। যাঁরা লোভে পড়ে এক বছর আগে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন, তাঁদের কী হবে? আসলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারটাই সঙ্কটের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। দফতর বণ্টন চার দিন পিছিয়ে গেল। আমি তো শুনছি, মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া নিয়েও কথা চলছে।’’
সূত্রের খবর, বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে অসন্তোষ দূর করতে শুক্রবার রাতে মুম্বইয়ের একটি ক্লাবে ডাকা হয়েছিল একটি বৈঠক। তাতে হাজির থাকার কথা ছিল মহারাষ্ট্রের সমস্ত বিজেপি বিধায়ক এবং বিধান পরিষদ সদস্যের। সেখানে এনসিপি নেতাদের রাজ্য সরকারে যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেপির বিধায়কদের মধ্যে তৈরি হওয়া অসন্তোষ দূর করার চেষ্টা হয়। যদিও তাতে কাজের কাজ কিছু হয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে বিজেপি নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস বলেন, ‘‘আমরা দল ভাঙি না। কিন্তু কেউ যদি প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বকে পছন্দ করে আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে চান, তাহলে আপত্তির কী আছে! আমরা তাঁদের স্বাগত জানাব।’’
গত ২ জুলাই এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার ন’জন নেতাকে নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দেন। অজিতকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু আচমকা এ ভাবে সরকারে এনসিপির যোগদানকে ভাল ভাবে নেননি বিজেপির অনেক বিধায়কই। বিজেপির জাতীয় সম্পাদক পঙ্কজা মুন্ডে শুক্রবারই সেই অসন্তোষের কথা তুলেছিলেন। তার পর বিজেপির বৈঠকে কি সেই অসন্তোষে জল পড়ল? তা জানা না গেলেও আদিত্যের দাবি যে নতুন করে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে তুফান তুলবে, তা বলাই বাহুল্য।