প্রিয়া সিংহ পল। ছবি: পিটিআই
ক’দিন আগেই দাবি করেছিলেন, তিনি প্রয়াত সঞ্জয় গাঁধীর কন্যা। এ বারে তা প্রমাণ করতে সঞ্জয় গাঁধীর মৃত্যুর ৩৭ বছর পর আদালতে যাচ্ছেন বছর ৪৮-এর প্রিয়া সিংহ পল।
আজই প্রথম বার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন প্রিয়া। সেখানে দাবি করলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালের আত্মীয়া বিমলা গুজরালই তাঁকে জানিয়েছিলেন, সঞ্জয় তাঁর বাবা। কিন্তু মাতৃ-পরিচয় এখনও অজানা তাঁর। সাংবাদিক সম্মেলনে নাটকের ইতি অবশ্য এখানেই নয়। সুশীল মহারাজ বলেও এক জন উপস্থিত ছিলেন সেখানে। নিজেকে সঞ্জয়ের বাল্যবন্ধু দাবি করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কী কারণে ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে গুজরাল পরিবারের বিবাদ বাঁধল, সে’টি খোঁজ নিলেই জানা যাবে প্রিয়ার মা কে।
প্রিয়ার এই দাবির পিছনে কি কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে? অথবা কোনও সম্পত্তির আকাঙ্ক্ষা? না হলে এত দিন পর কেন হঠাৎ তিনি আসরে নামলেন? সাংবাদিক সম্মেলনে এক বার নরেন্দ্র মোদীরও তারিফ করলেন প্রিয়া। তা হলে কি বিজেপিরও হাত
আছে পিছনে?
প্রিয়ার দাবি— শুধু বাবা-মায়ের পরিচয় খুঁজে বার করতে চান তিনি। সম্পত্তির কোনও লোভ নেই তাঁর। প্রিয়ার অভিযোগ, জন্মের পর তাঁকে অনাথ আশ্রমে পাঠানো হয়। আর সে দিনই তাঁকে অন্য এক দম্পত্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়। অথচ সেই অনাথ আশ্রমে বাবা-মায়ের কোনও নাম নথিভুক্ত করা হয়নি। গুরুগ্রাম থানায় এফআইআর করে তাই তিস হাজারি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি। তাঁর জন্মবৃত্তান্ত খুঁজে বার করার জন্য তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
প্রিয়া জানান— তিনি যে আসলে যে সঞ্জয়-কন্যাই, সেটি প্রমাণ করার জন্য বরুণ গাঁধীর ডিএনএ-র নমুনা নিয়ে তাঁর সঙ্গে মেলানো হোক। লাই-ডিটেক্টর পরীক্ষাতেও বসতে রাজি তিনি। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে বরুণ জানিয়েছেন, এই সব ‘উন্মাদ মানুষদের’ জন্য তাঁর সময় নেই। এই মহিলা আসলে কে, তিনি জানেন না। ফলে তাঁকে সহযোগিতা করার কোনও প্রশ্ন নেই।