Demand

পাত বাঁচাতে পথে বাঙালিরা

দিন কয়েক আগে চিত্তরঞ্জন পার্কের এক নম্বর মার্কেটের মাছের বাজার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিছু স্বঘোষিত সনাতনী এসে দাবি করেন, মাছের বাজারের সঙ্গে মন্দির রয়েছে। তাই ওই মাছের বাজার বন্ধ করে দিতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:২৪
Share:
মাছ বাজার বাঁচানোর দাবি।

মাছ বাজার বাঁচানোর দাবি। —প্রতীকী চিত্র।

এ বার চিত্তরঞ্জন পার্ক সংলগ্ন গোবিন্দপুরীর মাছ বাজার বাঁচাতে পথে নামছেন দিল্লির বাঙালিদের একাংশ। কালকাজির (গোবিন্দপুরী মচ্ছি মার্কেট) মাছের ও মুরগির বাজার বাঁচানো হোক বলে স্বাক্ষর অভিযানেও নেমেছেন তাঁরা।

Advertisement

দিন কয়েক আগে চিত্তরঞ্জন পার্কের এক নম্বর মার্কেটের মাছের বাজার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিছু স্বঘোষিত সনাতনী এসে দাবি করেন, মাছের বাজারের সঙ্গে মন্দির রয়েছে। তাই ওই মাছের বাজার বন্ধ করে দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সব স্তরে হইচই হওয়ায় শাসক দল বিজেপির পক্ষে জানানো হয়, মাছের বাজার যেমন আছে তেমনই থাকবে। বন্ধ হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

কিন্তু গোবিন্দপুরীর ক্ষেত্রে সমস্যা হল উচ্ছেদ অভিযানে নেমে রাস্তার উপরে অস্থায়ী ভাবে থাকা মাছের বাজার সদ্য শেষ যাওয়া নবরাত্রির আগেই ভেঙে দেয় পূর্ত দফতর ও দিল্লি পুরসভা। রাস্তার উপরে অবৈধ দখলদারদের হটাতেই ওই অভিযান চালানো হয়েছে বলে পুরসভা দাবি করেছে। কিন্তু ‘সেভ কালকাজি ফিশ অ্যান্ড চিকেন মার্কেট’ সংগঠনের সদস্যদের দাবি, নবরাত্রিতে মাছ বিক্রি বন্ধ করতেই ওই অস্থায়ী বাজার ভেঙে দেওয়া হয়। সংগঠনের সদস্যদের দাবি, তাঁদের ওই অস্থায়ী বাজার ৪০ বছর পুরনো। এর সঙ্গে কয়েকশো লোকের রুটি-রুজি যেমন জড়িত তেমনই ওই বাজার তুলনামূলক ভাবে সস্তা। ফলে আর্থিক ভাবে দুর্বলেরা ওই বাজারের উপরে নির্ভরশীল ছিলেন। আপাতত কিছুটা দূরে অস্থায়ী ভাবে মাছ বিক্রি করা শুরু করেছেন কিছু ব্যবসায়ী।

Advertisement

তাঁরা যাতে পুরনো জায়গায় ফিরে গিয়ে ফের ব্যবসা শুরু করতে পারেন সেই লক্ষ্যে স্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। আগামী দিনে পূর্ত দফতর, পুরসভা এবং প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তের কাছেও দরবার করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement