যুবককে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে মহারাষ্ট্রের একটি আদালত। প্রতীকী ছবি।
ট্রেনের মধ্যে এক তরুণীকে জোর করে চুম্বনের শাস্তি হিসাবে এক যুবককে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করল মহারাষ্ট্রের একটি আদালত। দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৩৭ বছরের ওই ব্যক্তি গোয়ার বাসিন্দা। জরিমানার টাকার অর্ধেক তরুণীকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঘটনাটি ২০১৫ সালের। আদালত সূত্রের খবর, সে বছর ২৮ অগস্ট লোকাল ট্রেনে চেপে গোভান্ডি থেকে সিএসএমটি স্টেশনে যাচ্ছিলেন এক তরুণী। মসজিদ স্টেশন থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি ওঠে ওই কামরায়। তরুণীর মুখোমুখি আসনে বসে সে। তরুণীর অভিযোগ, ওঠার পর থেকে তরুণীর দিকে এক টানা তাকিয়ে ছিল যুবক। অস্বস্তিকর দৃষ্টি প্রথমে এড়িয়ে যান তরুণী। এর পরে গন্তব্য এসে যাওয়ায় তিনি উঠে পড়েন। যুবকও উঠে পড়ে তাঁর পিছনে দাঁড়ায়। অস্বস্তিকর স্পর্শের পাশাপাশি আচমকা তরুণীর ডান গালে চুম্বন করে সে। তরুণী চিৎকার করে প্রতিবাদ করলে ট্রেনের মধ্যেই যাত্রীরা যুবককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তরুণীর অভিযোগ অনুসারে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।
আদালতে অবশ্য যুবকের দাবি ছিল, ভিড়ের ধাক্কায় তরুণীর গায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাতেই তরুণীর গালে তার ঠোঁটের ছোঁয়া লাগে। ভুল বোঝাবুঝিতে তরুণী তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন।
যুবকের দাবি মানেননি বিচারক ভিপি কেদার। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত জানিয়েছে, এই ধরনের আচরণে মহিলার সম্মানহানি হয়েছে। বিচারক বলেছেন, ‘‘পুরুষের থেকে মহিলারা অনেক বেশি অনুভূতিপ্রবণ। কোনও পুরুষ তাঁকে কোন চোখে দেখছেন বা স্পর্শ করছেন, সেটা মহিলার সহজাত ভাবে খুব দ্রুত ও সহজে বুঝতে পারেন।’’