নতুন রুটে বন্দে ভারত ট্রেন চলবে শনিবার থেকে। ফাইল চিত্র।
আরও একটি নতুন রুটে শুরু হতে চলেছে বন্দে ভারত ট্রেন চলাচল। শনিবার থেকেই সেই রুটে ট্রেনের চাকা গড়াবে। পরিষেবার সময়, খরচ, স্টেশন সংখ্যা বিস্তারিত জানিয়েছে রেল।
বন্দে ভারতের পরবর্তী রুট মুম্বই থেকে গোয়া। শনিবার সেই রুটে প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন চলবে। তার পর রবিবার থেকে নিয়মিত পরিষেবা চালু করবে রেল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী দিনে দেশের প্রতিটি রাজ্যেই বন্দে ভারত চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
মুম্বই-গোয়া বন্দে ভারত ভোর ৫.২৫ মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস থেকে যাত্রা শুরু করবে। এই ট্রেন মোট ১১টি স্টেশনে দাঁড়াবে। গোয়ার মারগাঁও শহরে বন্দে ভারত পৌঁছবে দুপুর ১.১৫ নাগাদ। এই সময়ের মধ্যে ৫৮৬ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে বন্দে ভারত। এর পর মারগাঁও থেকে ট্রেনটি আবার মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে দুপুর ২.৩৫-এ। ১১টি স্টেশন পেরিয়ে তা আবার মুম্বই পৌঁছবে রাত ১০.২৫ নাগাদ। মুম্বই থেকে রেলপথে গোয়া যেতে সাধারণত যত সময় লাগে, বন্দে ভারতে তার চেয়ে ঘণ্টাখানেক কম লাগবে। তবে এই রুটে এখনও পর্যন্ত দ্রুততম ট্রেন তেজস।
শনিবার নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে গোয়া-মুম্বই বন্দে ভারতের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গোয়ায় হাজির থাকবেন।
রেল জানিয়েছে, দেশে এই মুহূর্তে ১৮টি রুটে বন্দে ভারত ট্রেন চলছে। ২২টি রাজ্যের ১০০টি জেলাকে যুক্ত করেছে এই ট্রেন। যাত্রাপথে মোট ৯৯টি স্টেশনে বন্দে ভারত দাঁড়ায়।
২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি-বারাণসী রুটে প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন চলেছিল। তার পর থেকে ক্রমশ যাত্রীদের মধ্যে এই ট্রেনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।
দেশে এই মুহূর্তে যে যে রুটে বন্দে ভারত চলছে সেগুলি হল, দিল্লি-বারাণসী, দিল্লি-কাটরা, গান্ধীনগর-মুম্বই, চেন্নাই-মাইসুরু, দিল্লি-অম্ব অন্দৌরা, বিলাসপুর-নাগপুর, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, বিশাখাপত্তনম-সেকেন্দ্রাবাদ, মুম্বই-সোলাপুর, মুম্বই-শিরডি, ভোপাল-হজরত নিজামুদ্দিন, সেকেন্দ্রাবাদ-তিরুপতি, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি, পুরী-হাওড়া, দিল্লি-দেহরাদূন, তিরুঅনন্তপুরম-কাসারগড়, অজমের-দিল্লি এবং চেন্নাই-কোয়মবত্তূর।