National news

সর্বসমক্ষে আইনি কাগজে সই করে স্বামীকে ডিভোর্স

সাংবাদিকদের ডেকে সবিস্তার জানিয়ে ক্যামেরার সামনে একটি আইনি কাগজে সই করে স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন তিনি। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১০:২৭
Share:

সাংবাদিক সম্মেলনে শাজাদা খাতুন।

১৮ মাস ধরে কোর্ট-কাছারি-মৌলবী করেও কোনও ফল হয়নি। শাজাদা খাতুনের বিবাহবিচ্ছেদের নোটিসে সাড়া দেননি তাঁর স্বামী। তাই সাংবাদিকদের ডেকে সবিস্তার জানিয়ে ক্যামেরার সামনে একটি আইনি কাগজে সই করে স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন তিনি। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে।

Advertisement

শাজাদা খাতুন স্কুল শিক্ষিকা। লখনউয়ের একটি স্কুলে তিনি পড়ান। ২০০৫ সালের নভেম্বরে লখনউয়ের ডালিগঞ্জের জুবের আলির সঙ্গে বিয়ে হয় শাজাদার। শাজাদার দাবি, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে শুরু করেন স্বামী। সহ্য করতে না পেরে অবশেষে তিনি বাড়ি ছেড়ে দেন। গত ১৮ মাস ধরে শাজাদা আলাদা থাকেন। আর তখন থেকেই বিবাহবিচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: ১১ জনকে বিয়ে করে প্রচুর টাকা নিয়ে চম্পট এই তরুণী

Advertisement

প্রথমেই অবশ্য শাজাদা আদালতের দ্বারস্থ হননি। মুসলিম আইন অনুযায়ী খুলার জন্য আবেদন জানান। মুসলিম মহিলারা এই খুলার মাধ্যমেই বিবাহবিচ্ছেদ চান। তবে এটা অনেক সময়সাপেক্ষ। শাজাদা খুলা চেয়ে মৌলবীকে জানান। কিন্তু বহু দিন কেটে গেলেও মৌলবী বা তাঁর স্বামী কেউই তাঁর আবেদনকে গুরুত্ব দেননি। ৬ সেপ্টেম্বর শাজাদা তাঁর স্বামীকে আইনি নোটিস পাঠান। কিন্তু তাতেও স্বামীর কোনও হেলদোল ছিল না। তাই বিবাহবিচ্ছেদের জন্য এই অভিনব পদ্ধতি নিলেন তিনি।

তবে এই ভাবে বিবাহবিচ্ছেদকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না জানিয়েছেন মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের সদস্য মৌলানা খালিদ রশিদ ফারাঙ্গি মাহলি।

অন্য দিকে তিন তালাক বেআইনি ঘোষিত হওয়ার পর এই ভাবে কোনও মহিলা বিবাহবিচ্ছেদের জন্য এগিয়ে এসেছেন তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন মুসলিম মহিলা লিগের সাধারণ সম্পাদক নাইস হাসান। মৌলানা খালিদের বিপক্ষে গিয়ে নাইস জানান, শাজাদা স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান না তাই এই পদক্ষেপ করেছেন। কারও তাতে আপত্তি থাকলে আদালতে যেতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement