Migrant worker

‘দেবদূত’ সোনু সুদকে অভিনব উপায়ে সম্মান জানালেন ওড়িশার পরিযায়ী শ্রমিক

ওড়িশার বছর বত্রিশের এক পাইপ লাইনের মিস্ত্রি লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন কেরলে। তাঁর সঙ্গে আরও এমন ১৬৭ জনকে বিমানে করে কেরল থেকে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করেন সোনু সুদ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০০:১৪
Share:

সোনু সুদ। ফাইল চিত্র।

সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের নাম, ছবিই এত দিন দোকানের নামে বা বিজ্ঞাপনে ব্যবহার ব্যবহার হয়ে এসেছে। কিন্তু সিনেমার পর্দায় ভিলেনের চরিত্রেই যাঁকে বেশি দেখা গিয়েছে, তাঁর নামে দোকান খুলতে এর আগে খুব একটা দেখা যায়নি। কিন্তু এমনই এক ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে যাঁর নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তিনি আর কেউ নন, সোনু সুদ। করোনার অতিমারির মাঝে যিনি মুম্বইয়ে বা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

Advertisement

প্রশান্ত কুমার প্রধান, ওড়িশার বছর বত্রিশের এক পাইপ লাইনের মিস্ত্রি লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন কেরলে। তাঁর সঙ্গে আরও এমন ১৬৭ জনকে বিমানে করে কেরল থেকে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করেন সোনু সুদ। লকডাউনের সময় সোনু সুদের এমন নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে প্রচুর মানুষ ঘরে ফিরেছেন। তাঁরা সবাই সোনুর প্রতি তাঁদের কৃতজ্ঞতা, ভালবাসা প্রকাশ করেছেন। তবে প্রশান্ত যা করলেন তা অনেকেই ভাবেননি। প্রশান্ত নিজে একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকান খুলেছেন। সোনু সুদের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দোকানের নাম রেখেছেন, ‘সোনু সুদ ওয়েল্ডিং শপ’।

প্রশান্ত আদতে ওড়িশার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে কেরলের কোচিতে থাকতেন। সেখানে বিমানবন্দরের কাছে একটি সংস্থায় কাজ করতেন। দৈনিক মজুরি ছিল ৭০০ টাকা। কিন্তু লকাউনে কাজ হারানোর ফলে বন্ধ হয়ে যায় উপার্জনের রাস্তাও। অগত্যা ঘরে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেন তিনি এবং তাঁর মতো আরও অনেকেই। নানা সমস্যার মুখে পড়ে ঘরে ফেরা হচ্ছিল না। এ দিকে টাকাও ফুরিয়ে আসছিল বলে জানান প্রশান্ত। অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বার বার আর্জি জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। একটা সময় আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এর পরই প্রশান্ত জানান, সে সময় ‘দেবদূত’-এর মতো এসে হাজির হয়েছিলেন সোনু সুদ। তাঁদের জন্য বিশেষ বিমানের ওড়িশায় ফেরার ব্যবস্থা করেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ওড়িশার গ্রামে মিলল বিরল হদুল কচ্ছপ, কী করে জন্মাল দেখুন এমন প্রাণী

বাড়ি ফিরতে পেরে যথেষ্ট আনন্দই হয়েছিল তাঁর। কিন্তু একটা ভয়ও কাজ করছিল পাশাপাশি। সেটা হল কাজ। সময় নষ্ট না করে নতুন জীবিকার খোঁজে নেমে পড়লেন প্রশান্ত। নিজের বাড়ির সামনেই একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকান খুলে ফেলেন তিনি। প্রশান্ত বলেন, “যে মানুষটার জন্য বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়েছে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাব না, তা কখনও হয়!” তাই অভিনব কায়দাতেই সোনুকে কৃতজ্ঞতা জানাতে নিজের দোকানের নাম রাখলেন ‘সোনু সুদ ওয়েল্ডিং শপ’। তবে তার আগে সোনু সুদের কাছে তাঁর নাম ও ছবি ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন প্রশান্ত। সোনুও নির্দ্বিধায় অনুমতি দিয়ে দেন। সঙ্গে শুভেচ্ছাও জানান প্রশান্তকে। সোনু বলেন, “ওড়িশা যাওয়ার সুযোগ এলে অবশ্যই ‘সোনু সুদ ওয়েল্ডিং সপ’ ঘুরে আসবেন।”

আরও পড়ুন: ভাল্লুকও যেন সেলফি তুলতে চাইছে, দেখুন মহিলা পর্যটকদের সঙ্গে কী করল সে

এক চিত্র সাংবাদিক মানব মঙ্গলানি প্রশান্তের নতুন দোকানের ছবি পোস্ট করেছেন তাঁর ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে। সোনুকে কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রশান্তের এই অভিনব কায়দা মন কেড়েছে নেটাগরিকদের।

দেখুন সেই পোস্ট:

This endorsement looks like, it's closest to @Sonu_Sood's heart as a migrant who was rescued & airlifted by him from Cochin to Orissa has started his own welding shop called as 'Sonu Sood Welding Work Shop'. There is no better way showing love to the messiah of migrants & we truly love seeing heartwarming moments like these.

A post shared by Manav Manglani (@manav.manglani) on

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement