এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বছর কয়েকের প্রেমের সম্পর্কে চিড় ধরে। চার মাস আগে ভেঙে যায় সম্পর্ক। কিন্তু প্রাক্তন প্রেমিকাকে ভুলতে পারেননি। প্রায়ই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বার বারই প্রত্যাখ্যান। হঠাৎই জানতে পারেন, তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা অন্য এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাতেই রেগে গিয়ে যুবতীকে অপহরণ, পরে বন্ধুদের সঙ্গে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক যুবক।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ভিবন্ডীর শান্তিনগরে। ওই এলাকারই বাসিন্দা ২২ বছর বয়সি নির্যাতিতা। সেই গ্রামেই থাকতেন মূল অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর ধরে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু চার মাস আগে বিচ্ছেদ ঘটে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা অন্য এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, যা মেনে নিতে পারেননি তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক। বন্ধুদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে ওই যুবতীকে অপহরণ করার পরিকল্পনা ফাঁদেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত রাস্তা থেকে নির্যাতিতার ভাইকে তুলে নিয়ে যান। তার পর ওই যুবতীকে ফোন করে জানান, যদি তিনি না আসেন তবে তাঁর ভাইকে ছাড়বেন না। ফোন পেয়ে নির্যাতিতা বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়েই মধ্যরাতে রিকশা চেপে নির্দিষ্ট স্থানে যায়। সেখানে অভিযুক্ত ছাড়াও তাঁর আরও কয়েক জন বন্ধু ছিলেন। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। নির্যাতিতার গায়ে হাতও তোলেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক।
অভিযোগ, বাধা দিতে গেলে নির্যাতিতার ভাই এবং ওই রিকশাচালককেও মারধর করা হয়। পরে ওই যুবতীকে জোর করে একটি স্কুটারে চাপিয়ে স্থানীয় এক স্কুলের পিছনের ঝোপে নিয়ে যান অভিযুক্ত। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধুরাও। সেই ঝোপের মধ্যেই ওই যুবতীকে চার জন মিলে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পরে আবার একটি পিকআপ ভ্যানে চাপিয়ে তাঁকে আবার ধর্ষণ করা হয় বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে মোট ছ’জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাঁদের মধ্যে চার জনের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং গণধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে শুধু অপহরণের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত পুলিশ শুধু মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।