আইএনটিইউসি-র জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সিদ্দেক আহমেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হাজি ফকরুদ্দিন। শারিরীক অসুস্থতার কারণে আজ তিনি পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেও, এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ। ইস্তফার বিষয়ে ফকরুদ্দিন বলেছেন, ‘‘আমি সৎ পথে থাকতে পছন্দ করি। ব্যাঙ্কের সুদের টাকাও নিই না। রাজনীতির মঞ্চ আমার উপযুক্ত জায়গা নয়। তা ছাড়া আমি অসুস্থ।’’
ফকরুদ্দিনকে আইএনটিইউসি-র করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি পদে নিয়োগের তত্কালীন মন্ত্রী তথা দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদের যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। রাজনৈতিক রণকৌশলও ছিল এর পিছনে। রাজনৈতিক মহলের খবর, করিমগঞ্জ জেলার পাঁচটি নির্বাচন চক্রে হিন্দু-মুসলমান ভোট বিন্যাস ছাড়া বাগানি, মণিপুরি ভোট রয়েছে। মুসলমান ভোট কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। মত্সজীবী সম্প্রদায়, চৌধুরী-তালুকদার, কিষাণ সম্প্রদায় তার মধ্যে অন্যতম।
দক্ষিণ করিমগঞ্জে সিদ্দেক আহমেদের প্রবল বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা গৌতম রায় কিষাণ সম্প্রদায়ের ইকবাল হুসেনকে দীর্ঘ দিন ধরে সমর্থন করেন। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ করিমগঞ্জে কিষাণ সম্প্রদায়ের প্রায় ১৬ হাজার ভোট সিদ্দেক-বিরোধী ইকবাল হুসেনের দিকে ঝুঁকেছিল।
সে দিকে তাকিয়েই সিদ্দেক কিষাণ সম্প্রদায়ের ফকরুদ্দিনকে আইএনটিইউসি-এর জেলা সভাপতি করতে চেয়েছিলেন।
ইস্তফা দেওয়ার আগে ফকরুদ্দিন দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেকের সঙ্গে আলোচনা করেননি বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। একাংশে ধারণা, অসমে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ আশানুরূপ নয় বিবেচনা করে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। এই যুক্তি না মেনে অন্য পক্ষ বলছেন, আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন ফকরুদ্দিন।