—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দুই মহিলার মৃত্যুর পরে রবিবারেও অশান্ত থাকল মণিপুর। পূর্ব ইম্ফলের থামনাপোকপি, ইয়াইঙ্গাংপোকপি, সাবুংখোক এবং সানসাবি-সহ উপত্যকা লক্ষ্য করে পাহাড়ের উপর থেকে গুলি চলল। থমনাপোকপির কাছে ধান খেতে কাজ করা কৃষকদের দিকে জঙ্গিরা তিনটি রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) ছোড়ে। গ্রামবাসীরা পালান। সেনা, বিএসএফ ও স্থানীয় পুলিশের যৌথ বাহিনীর সঙ্গে কুকিদের বিক্ষিপ্ত গুলির লড়াই চলে বিকেল পর্যন্ত। সেনার মাহার রেজিমেন্টের এক জওয়ান জখম হয়েছেন।
অন্য দিকে কুকি-জ়ো যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফ-সহ মণিপুরের ১০টি জনজাতি সংগঠন যৌথ ভাবে ঘোষণা করল, তারা কিছুতেই ভারত-মায়ানমারের সীমান্ত পুরোপুরি সিল
করতে দেবে না। আইটিএলএফ সব জনজাতিদের অনুরোধও করল, স্বশাসিত জেলা পরিষদের প্রস্তাবিত নির্বাচনে যেন কেউ অংশ না নেয়।
জনজাতি সংগঠনগুলি রবিবার বিবৃতি দিয়ে বলে, সীমান্তের দুই পারে যে হেতু একই গোষ্ঠী ও ভাষাভাষীর বাস, তাই মধ্যে পাকাপাকি বেড়া বসালে দুই তরফে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। নাগাল্যান্ড ও মিজ়োরামেও একই দাবি উঠেছে। সেই কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রের কাছে সীমান্ত সিল করা এবং দুই পারে অবাধ যাতায়াত বা এফএমআর বাতিল করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মণিপুরের জনজাতিরা। সেই সঙ্গে তারা সব জনজাতি সংগঠন, জনজাতি গ্রামের মানুষ ও জনজাতি সরকারি কর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছে,
সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজে যেন তাঁরা কেউ যোগ না দেন। মণিপুর ও অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য অবিলম্বে সীমান্ত সিল করার পক্ষে। এখন পর্যন্ত মণিপুরের ২০ কিলোমিটার সীমান্ত সিল করার কাজ হয়েছে।
এ দিকে, মণিপুরে প্রস্তাবিত স্বশাসিত জেলা পরিষদ বা এডিসি ভোট বয়কটের ডাক দিল জনজাতি সংগঠন আইটিএলএফ। রাজ্যের ৪০ শতাংশ জনসংখ্যা জনজাতিভুক্ত। তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য ৬টি এডিসি রয়েছে। আইটিএলএফের দাবি, কুকিরা যেখানে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটিতেই নেই, সেখানে একতরফা ভাবে ভোট চাপিয়ে দেওয়া অর্থহীন। এমন সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে জনজাতি এলাকায় নির্বাচন পরিচালনা করার সিদ্ধান্তও মানা হবে না।