Mumbai Police

মহারাষ্ট্রে সংঘর্ষ, গুরুতর জখম ১৮ পুলিশকর্মী

নাশিক ও জলগাঁওয়ে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শুক্রবার বন্‌ধ ডেকেছিল। পাশাপাশি, শহর জুড়ে প্রতিবাদী মিছিল ও বাইক মিছিলেরও পরিকল্পনা ছিল তাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নাশিক শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৫১
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে, এই দাবি তুলে ডাকা হয়েছিল বন্‌ধ। সেই সঙ্গে পরিকল্পনা ছিল প্রতিবাদী মিছিলেরও। সমস্ত পরিকল্পনা অবশ্য দিনের শেষে পরিণত হল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। মহারাষ্ট্রের নাশিক ও জলগাঁওয়ে শুক্রবার ঘটা এই সংঘর্ষের পরে আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। যদিও নাশিকের সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে ১৮ জনই পুলিশকর্মী। সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য পাথর ও ইট।

Advertisement

নাশিক ও জলগাঁওয়ে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শুক্রবার বন্‌ধ ডেকেছিল। পাশাপাশি, শহর জুড়ে প্রতিবাদী মিছিল ও বাইক মিছিলেরও পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেই মিছিল নিয়ে শুক্রবার দুপুর নাগাদ নাশিকের ভদ্রকালী এলাকার বাজারে পৌঁছয় সংগঠনের সদস্যরা। এ দিকে, বন্‌ধ ডাকা হলেও বাজারের সব দোকান তা মানেনি, দোকান খোলা রেখেছিলেন অনেকেই। সেই নিয়ে শুরু হয় তরজা। কথা কাটাকাটি চরমে উঠলে শুরু হয় হাতাহাতি। তার পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ ও পাথর ছোড়া। বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানও ভাঙচুর করা হয়।

ভাঙচুরের খবর পেয়ে অকুস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। নাশিকের পুলিশ কমিশনার সন্দীপ কর্ণিক জানিয়েছেন, মোট ছ’টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে তবেই উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা গিয়েছে। পরে এলাকার শান্তি বজায় রাখতে পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয়েছে এসআরপিএফ জওয়ানদেরও।

Advertisement

গত কালও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে জলগাঁওয়ে। একই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছিল সেখানে। সেই মিছিল থেকেই পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। শহরের সুরক্ষায় সেখানেও মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশবাহিনী। দুটি ঘটনাতেই তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করা হবে। সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement