পরিবেশ বাঁচিয়ে উন্নয়ন হবে পার্বত্য রাজ্যের। বার্তা মোদীর। ছবি: রয়টার্স।
মেঘভাঙা বিপর্যয়ের পর উত্তরাখণ্ডের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তৎকালীন ইউপিএ সরকার তাঁর সহায়তা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। কেদারনাথ সফরে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল জম্মু-কাশ্মীরের গুরেজ উপত্যকায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে দেওয়ালি কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ গেলেন কেদারনাথ। উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল কে কে পল এবং মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জনসভা থেকেই আক্রমণ করলেন আগের সরকারকে। আর স্বপ্ন দেখালেন, ২০২২ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ উন্নত দেশে পরিণত করবেন ভারতকে।
‘‘কেদারনাথের এই পূণ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে আমি ভোলে বাবার আশীর্বাদ চাইছি এবং শপথ নিচ্ছি, ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে ভারতকে একটি সম্পূর্ণ উন্নত দেশে পরিণত করার স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি নিজেকে উৎসর্গ করব।’’ কেদারনাথের জনসভা থেকে শুক্রবার এ কথাই বলেছেন মোদী। উত্তরাখণ্ড-সহ দেশের সবক’টি পার্বত্য রাজ্যের উন্নয়নে জোর দেওয়ার কথাও এ দিন তিনি বলেছেন। তাঁর আহ্বান— দেশের পার্বত্য রাজ্যগুলি পরস্পরের সঙ্গে উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় সামিল হোক। পরিবেশের ক্ষতি না করে কোন রাজ্য কত দ্রুত পরিকাঠামো এবং পর্যটনের উন্নতি ঘটাতে পারে, তার প্রতিযোগিতা শুরু হোক।
আরও পড়ুন: বাবরির মতো ধ্বংস হতে পারে তাজও! আশঙ্কা আজমের
২০১৩ সালে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ড যে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় মুখে পড়েছিল, তাতে কেদারনাথ মন্দিরের কোনও ক্ষতি না হলেও বিধ্বস্ত হয়েছিল কেদারপুরী। এ দিন নরেন্দ্র মোদী নতুন করে কেদারপুরী তৈরির শিলান্যাস করেন। কেদারনাথে পর্যটন পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে আশ্বাস দেন, পরম্পরার সঙ্গে খাপ খাইয়ে এবং পরিবেশ বাঁচিয়েই এই আধুনিকীকরণ হবে। এ দিন উত্তরাখণ্ড সরকারকে পরিবেশের বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিরোধীদের জবাব দিলেন আদিত্যনাথ
মেঘভাঙা বিপর্যয়ের পর উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। মোদী জানান, গুজরাতের তরফ থেকে উত্তরাখণ্ডের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রের ইউপিএ সরকার সে সহায়তা প্রত্যাখ্যান করে।