প্রতীকী চিত্র।
প্রথমে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল মধ্যবয়স্ক প্রতিবেশী। তার পর চার জন মিলে গণধর্ষণ। এখানেই থামেনি, দিনের পর দিন, গত তিন মাস ধরে ভয় দেখিয়ে চলতে থাকে একই নির্যাতন। প্রতিবার গণধর্ষণের পর ছোট্ট মেয়েটিকে ধর্ষকরা হুমকি দিত, কাউকে বললে ফল ভাল হবে না। শেষ পর্যন্ত গত বুধবার মা-কে সব কথা বলে মেয়েটি। মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধও। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে।
ভোপালের জাহাঙ্গিরাবাদ থানার ইন্সপেক্টর প্রীতম সিংহ ঠাকুর পিটিআইকে জানিয়েছেন, মাস তিনেক আগে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল সুমন পাণ্ডে (৫০)। বাড়িতেই ওই প্রতিবেশী ও আরও তিন জন ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। শেষ বার গণধর্ষণ করা হয়েছে এ মাসের ১২ তারিখ। চার অভিযুক্ত আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরোধ পথে, অন্দরে অভিনন্দন
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নানহু লাল, গোকুল পানওয়ালা, জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে এবং সুমন পাণ্ডে। এর মধ্যে ৬৫ বছরের নানহু লাল পেশায় দারোয়ান, গোকুলের পানের দোকান, এবং জ্ঞানেন্দ্র গাড়ি চালক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন নিরোধ (পকসো) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মন দিয়ে লেখাপড়া...’ কথাটা খাটে না এঁদের ক্ষেত্রে
এ মাসেই ভোপালে কোচিং থেকে ফেরার পথে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থী এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল রাস্তার ধারে। হাবিবগঞ্জ রেল স্টেশনের কাছে সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের সামনে এল আরও এক ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা।