ব্যাপক রদবদল মুম্বই পুলিশে। —ফাইল চিত্র।
তোলাবজির অভিযোগে জেরবার হয়ে এ বার মুম্বই পুলিশে ব্যাপক রদবদল। এক দিনেই সেখানে ৮৬ জন পুলিশ অফিসারকে বদলি করা হল। মঙ্গলবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তার পর সন্ধ্যার মধ্যেই বদলির নির্দেশে সিলমোহর পড়ে। এর আগে, মায়ানগরীর পুলিশ প্রধান পদেও রদবদল ঘটানো হয়। পরমবীর সিংহকে সরিয়ে সেই জায়গায় আনা হয় হেমন্ত নাগরালেকে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির বাইরে বিস্ফোরক ঠাসা পরিত্যক্ত গাড়ি উদ্ধারের পর থেকেই তোলপাড় মুম্বই। কোটি কোটি টাকার তোলাবাজি-তে নাম জড়িয়ে গিয়েছে মুম্বই পুলিশের। তার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের শিবসেনা-এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট সরকারের উপরও। অম্বানী-কাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ওয়াজ়েকে দেশমুখ তোলাবাজির কাজে ব্যবহার করতেন বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। সচিনকে তিনি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন পরমবীর।
সচিনক ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) তাঁকে জি়জ্ঞাসাবাদ করছে। গোটা ঘটনায় দেশমুখের ইস্তফার দাবিও তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি।
মঙ্গলবার যে অফিসারদের বদলি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেক্টর রিয়াজউদ্দিন কাজি এবং প্রকাশ হোয়াল। অপরাধ গোয়েন্দা শাখায় ওয়াজের সহকর্মী ছিলেন রিয়াজউদ্দিন। তাঁকে স্থানীয় সশস্ত্র বিভাগে সরানো হয়েছে। প্রকাশকেও সম্প্রতি জেরা করে এনআইএ। তাঁকে সরানো হয়েছে মালাবার হিল থানায়।
এ ছাড়াও, অপরাধ দমন শাখার ৬৫ জন অফিসারকে সরানো হয়েছে, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই একাধিক হাই প্রোফাইল মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে ট্রাফিক বিভাগ এবং জেলা স্তরে সরানো হয়েছে।
তবে এক সন্ধ্যেয় একসঙ্গে এত জনের বদলি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, আসল অপরাধীদের আড়াল করতেই এই অতি তৎপরতা। বিজেপি-র মুখপাত্র রাম কদম বলেন, ‘‘যাঁরা অপরাধ ঘটিয়েছেন, তাঁদের সরানো হয়নি। অভিযুক্ত মন্ত্রীকেই বা সরানো হল না কেন? এ ভাবে নজর ঘোরানো যাবে না। অভিযুক্ত মন্ত্রীকে কখন সরানো হবে, জানতে চাই আমরা।’’