প্রতীকী ছবি।
কর্নাটকের মাদিকেরিতে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল আট পুলিশকর্মীকে। অভিযোগ, লকডাউন বিধি না-মেনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোয় রয় ডি’সুজ়া নামে ওই যুবক পুলিশি নিগ্রহের মুখে পড়েন। পুলিশের হেফাজতে মারধরের জেরেই তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি রয়ের পরিবারের।
কোদেগু জেলার বিরাজপেট থেকে বুধবার ওই যুবককে আটক করা হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ওই অঞ্চলে লকডাউন চলছে। তবে তা উপেক্ষা করেই রয় রাস্তায় ঘুরছিলেন বলেই তাঁকে তুলে আনা হয় বলে দাবি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানার তরফে। পরে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, থানায় গিয়ে তাঁরা দেখেন, রয় অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর।
ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতেই আট অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে এ দিন জানান কোদেগুর পুলিশ সুপার শমা মিশ্র। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কর্নাটকের সাদার্ন রেঞ্জের আইজি প্রবীণ মধুকর পাওয়ারের কথায়, ‘‘সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টির তদন্ত করছেন। আর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা মেনে আমরা সিআইডি-র হাতে তদন্তভার তুলে দিচ্ছি।’’
মায়ের সঙ্গে থাকতেন রয়। তবে গত ৮ জুন গভীর রাতে হঠাৎ তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বলে জানাচ্ছেন তাঁর আত্মীয়রা। রাস্তায় ভবঘুরের মতো ঘুরতে দেখে তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। লকডাউন বিধি ভাঙার নামে রয়কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তাঁদের। পরিবারের দাবি, তার জেরেই প্রাণ হারাতে হল ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে।