অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকদের সঙ্গে সৌম্যা।
গুজরাতের বাসিন্দা সৌম্যা তিওয়ারি। সাত বছরের মেয়েটির ঘাড় সব সময় একদিকে কাত হয়ে থাকত। ঘাড় নড়াতেও পারত না সে। এর আগে দু’বার অস্ত্রোপচারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারের জেরে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছে সৌম্যা।
ঘাড়ের পেশিতে টিউমার হওয়ার জেরেই এই অবস্থা হয়েছিল সৌম্যার। ঘাড়ের এই সমস্যাকে বলা হয় ‘টরটিকোলিস’। এমআরআই স্ক্যান করে দেখা গিয়েছিল, তার মাথা পুরোপুরিভাবে কাত হয়ে গিয়েছে এবং তা নড়াচড়া করার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। এ ব্যাপারে মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালের স্নায়ু চিকিৎসক অগ্নিবেশ টিকু বলেছেন, ‘‘এটি খুবই বিরল ঘটনা। শিশুদের এক হাজার জনের মধ্যে চার জনের ক্ষেত্রে এই রোগ দেখা যায়। মেয়েদের থেকে ছেলেদের মধ্যেই বেশি দেখা যায় এই সমস্যা।’’
জানা গিয়েছে, পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সমস্যায় ভুগেছে সৌম্যা। এর আগে তার বাবা-মা বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরেছেন। কিন্তু অস্ত্রোপচারে প্রবল ঝুঁকি থাকায় অনেক চিকিৎসকই তাতে রাজি হননি। শেষমেশ মুম্বইয়ের এই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল সৌম্যাকে। সেখানেই অগ্নিবেশের নেতৃত্বাধীন চিকিৎসক দল সৌমার ঘাড়ে অস্ত্রোপচার করেছেন। সফল হয় সেই অস্ত্রোপচার। এখন আর পাঁচটা মানুষের মতোই ঘাড় নাড়াতে পারছে সাত বছরের মেয়েটি।