দিল্লি-নিবাসী ষাটোর্ধ্ব দম্পতির ঘরে এখন খুশির আলো ‘আরমান’। ছবি: সংগৃহীত।
বছর দু’য়েক আগে হারিয়েছিলেন ৩১ বছরের তরতাজা ছেলেকে। শোকে-দুঃখে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন। ৬৪ বছর বয়সে ফের সেই মায়ের কোলে এল সন্তান! সৌজন্যে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ)।
দিল্লি-নিবাসী ষাটোর্ধ্ব দম্পতির ঘরে এখন খুশির আলো। গত মার্চে মা হয়েছেন চামেলি মীনা। ছেলের নাম রেখেছেন ‘আরমান’। হবে না-ই বা কেন! ২০১৫-তে একমাত্র ছেলের মৃত্যুর পর এ তো তাঁদের ইচ্ছাপূরণেরই কাহিনি।
আরও পড়ুন
আমার কষ্টটা কেউ বুঝছে না, আক্ষেপ পাণিপ্রার্থী বৃদ্ধের
চামেলি দেবীর স্বামী ৬৫ বছরের জগদীশ মীনা শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থেকে অবসর নিয়েছেন বছর তিনেক আগে। ছেলেকে হারিয়ে স্ত্রীর মতো তিনিও ভেঙে পড়েছিলেন। বেশ কিছু দিন দিশেহারা থাকার পর অবশেষে তাঁরা দু’জনেই ফের বাবা-মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর পরই শহরের এক চিকিৎসক অনুপ গুপ্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। তাঁর ক্লিনিকেই চামেলি দেবীর আইভিএফ করানো হয়।
আরও পড়ুন
বিতস্তা, চন্দ্রভাগার উপর ভারত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে পারবে: বিশ্ব ব্যাঙ্ক
অনুপ গুপ্ত জানিয়েছেন, শুধুমাত্র চামেলি দেবীই নন, গত পাঁচ বছরে পঞ্চাশোর্ধ্ব ২০-২৫ জনেরও বেশি দম্পতি তাঁর কাছে আইভিএফের জন্য এসেছেন। আজকাল আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্যে বেশি বয়সে সন্তানধারণ করছেন চামেলী দেবীর মতো অনেকেই। তবে এত বেশি বয়সে সন্তান আসার পর তাঁর ভবিষ্যতের ভাবনা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। জগদীশ মীনা অবশ্য সে সবে কান দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “ছেলের বেড়ে ওঠার সময় আমরা যাতে তার পাশে থাকতে পারি সে জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আমিও প্রতি ছ’মাস অন্তর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাই।”
আরও পড়ুন
কংগ্রেস বিধায়কদের ‘আগলে’ রাখা মন্ত্রীর বাড়িতে আয়কর হানা
আইভিএফ বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, মূলত যে সমস্ত পঞ্চাশোর্ধ্ব দম্পতি এই পদ্ধতিতে সন্তান লাভ করেছেন তাঁদের বেশির ভাগই দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও কারণে সন্তানহারা হয়েছেন। অনেকে আবার শেষ বয়সের একাকীত্ব কাটানোর জন্যও আইভিএফ করাচ্ছেন।