প্রতীকী ছবি।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। ডায়াবিটিসেও ভুগছেন। কিন্তু এ সব তাঁকে কাবু করতে পারেনি। গুজরাতের সুরতের ওই ৬৩ বছরের কৃষকদের ঘুম নষ্ট করছে সপ্তম বার বিয়ের ভাবনা। ষষ্ঠ বউ তাঁর সঙ্গে থাকতে আর রাজি নন। তাঁর সঙ্গে বিছানা ভাগ করে নিতেও আপত্তি রয়েছে ষষ্ঠ স্ত্রীয়ের। এতেই ব্যথা পেয়েছেন ৬৩ বছরের আয়ুব দেগিয়া। সপ্তম বার বিয়ের জন্য চিন্তা শুরু করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থাকে।
সুরত জেলার কাপলেথা গ্রামে থাকেন দেগিয়া। তিনি বেশ সম্ভ্রান্ত কৃষক। পয়সকড়ির অভাব তাঁর নেই। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে ষষ্ঠ বারের জন্য বিয়ে করেন তিনি। পাত্রী তাঁর থেকে ২১ বছরের ছোট। এই বিয়ে মাস দু’য়েকের বেশি টেকেনি। ডিসেম্বরেই ছাড়াছাড়ি হয় তাঁদের। তার পর থেকে মন খারাপ দেগিয়ার। ষষ্ঠ স্ত্রীকে নিয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘‘ও আমাকে শুতে নেয় না। আমার বিভিন্ন রোগ আছে বলে সংক্রমণের ভয় পায়। আমি একজন স্ত্রী চাই, যে আমাকে সঙ্গ দেবে।’’
দেগিয়ার ষষ্ঠ স্ত্রী, ৪২ বছরের ওই মহিলা দেগিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের আগে তিনি জানতেন না, দেগিয়ার আগে ৫ বার বিয়ে হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দেগিয়াকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারার মামলা দায়ের করে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। দেগিয়ার ষষ্ঠ স্ত্রী বলেছেন, ‘‘বিয়ের আগে জানতামই না উনি ৫ বারের বিবাহিত। ওঁর প্রথম স্ত্রী বেঁচে আছেন। গ্রামের অনেকেই আমাকে বলেছে, উনি দু’দিনের সম্পর্ক করেন। তার পর মেয়েদের তাড়িয়ে দেন।’’ দেগিয়ার প্রথম স্ত্রী বেঁচে রয়েছেন। এবং তাঁর পাঁচটি সন্তান রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ওই গ্রামেই থাকেন তাঁরা। কেন আগের স্ত্রীদের থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন— এই প্রশ্নের কোনও সন্তোষজনক জবাবও দিতে পারেননি দেগিয়া। কিন্তু জেলে বসেও সপ্তম বার বিয়ের আশা ছাড়েননি ওই বৃদ্ধ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।