Odisha

নথি যাচাইয়ের জন্য শতায়ু মায়ের খাট টানতে টানতে ব্যাঙ্কে গেল মেয়ে

বাধ্য হয়ে শতায়ু মাকে খাটে শুইয়ে ব্যাঙ্কে টেনে নিয়ে গেলেন ৬০ বছরের বৃদ্ধা মেয়ে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২০ ১৪:৩৭
Share:

মাকে ব্যাঙ্কে নিয়ে যাচ্ছেন গুঞ্জা। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

সরকারি খাতের টাকা এসেছে শতায়ু মায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কিন্তু ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন ছাড়া সে টাকা তুলতে দিচ্ছে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে শতায়ু মাকে খাটে শুইয়ে ব্যাঙ্কে টেনে নিয়ে গেলেন ৬০ বছরের বৃদ্ধা মেয়ে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার খারিয়ার ব্লকের বারগাঁও গ্রামে।

Advertisement

খাটে শুয়ে থাকা মাকে ব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তার পরই ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে জবাব তলব করেছেন নাওপদ জেলার কালেক্টর মধুস্মিতা সাহু।

সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, খাটিয়াতে শুয়ে রয়েছেন বৃদ্ধা মা। সেই খাট খুব কষ্ট করে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন ৬০ বছরের গুঞ্জা। এ ভাবেই গত ৮ জুন মায়ের ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করাতে উৎকল গ্রাম্য ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চে গিয়েছিলেন তিনি। মায়ের টাকা তোলার জন্য ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেও লাভ হয়নি— অভিযোগ গুঞ্জার। এ ব্যাপারে গুঞ্জা বলেছেন, ‘‘মায়ের তরফে আমি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ম্যানেজার সেই অনুমতি দিতে রাজি হননি।’’ সে সময়ই তাঁকে মায়ের ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের কথা জানিয়েছিল ব্যাঙ্ক। তাঁর বাড়ি গিয়ে মাকে দেখে টাকা দিয়ে আসার অনুরোধও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে করেছিলেন তিনি। যদিও ব্যাঙ্কের তরফে তাঁর বাড়িতে কেউ আসেননি। তখন উপায় না দেখে গত ৮জুন মাকে খাটে শুইয়ে ব্যাঙ্কে নিয়ে যান গুঞ্জা।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যুতে বিশ্বে অষ্টম ভারত, আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার

এই ঘটনা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘গুঞ্জাকে বলেছিলাম, আমাদের কোনও কর্মী তাঁর বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসবে। কিন্তু ব্রাঞ্চে কাজের চাপ থাকায় কেউ যেতে পারেনি। তার পর দিনই গুঞ্জা চলে আসেন।’’ ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ম্যানেজারকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারত-চিন সংঘর্ষ লাদাখে, হত ৩ ভারতীয় সেনা, হতাহত ওপক্ষেও

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement