বিপর্যস্ত: চলছে উদ্ধারকাজ। শুক্রবার জম্মুর ডোডা জেলায়। ছবি: এএফপি।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় মৃত্যু হল ছ’জনের। জখম অন্তত ১১। শুক্রবার মাঝরাত থেকে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে বাতোতে-কিস্তওয়ার জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ। গুঁড়িয়ে গিয়েছে ছ’টি বাড়ি, একটি স্কুল ও বেশ কিছু দোকানপাট। পুলিশ জানিয়েছে, ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। দিনের শেষে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। ছ’জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘রাত আড়াইটে নাগাদ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে যায় থাথরি শহর। শহর সংলগ্ন জামাই মসজিদের আশপাশের এলাকার জলাশয়ে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপদ আরও বাড়ে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেসে যায় আশপাশের অঞ্চল। ডোডার এসপি ইফতিকার আহমেদ বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত এক মহিলা-সহ ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১১ জনকে।’’ আহতদের মধ্যে রয়েছেন একই পরিবারের পাঁচ জন। উদ্ধার করা হয়েছে একটি ১২ বছরের কিশোরকেও। ইফতিকার আহমেদের কথায়, ‘‘উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়ার আগে হতাহতের সংখ্যা বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে না।’’
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন নাগনি গ্রামের বাসিন্দা ৪০ বছরের নাড়ু দেবী, তাঁর দুই মেয়ে স্বপ্না দেবী (১৪ বছর) ও প্রিয়া দেবী (৭ বছর) ও ছেলে রাহুল (৯ বছর)। তা ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে পাটনা দেবী ও শ্রিষ্টা দেবী নামে ১৫ বছরের এক কিশোরীর। তারা দু’জনেই বালগ্রানের গ্রামের বাসিন্দা। বন্যায় পাথর ভেসে আসায় বন্ধ করে দেওয়া
হয়েছে বাতোতে-কিস্তওয়ার জাতীয় সড়ক। এই এলাকায় জল সরবরাহ ও বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ করা হয়েছে।