প্রতীকী ছবি।
একই ক্লাসে পড়ত না কেউ। এমনকী এক গ্রামের বাসিন্দাও নয়। অথচ মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে একই রকম ভাবে এক স্কুলের ছয় ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশের একটা অংশ যদিও এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে। তবে, অন্য কোনও কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে তারা।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার বাহরি থানা এলাকার সাফি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের ছয় ছাত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রত্যেকের বাড়িতেই তাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কোনও ক্ষেত্রেই সুইসাইড নোট জাতীয় কিছুই মেলেনি। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে ছ’বার এমন ঘটনা ঘটায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হল গাজরাহি গ্রামের রানি যাদব (১৪), কোঠারের আকাঙ্ক্ষা শুক্লা (১৭), কুবরির অমৃতা গুপ্ত (১৮), কারোদি গ্রামের বাসিন্দা অনিতা সাউ (১৬) এবং দুয়ারাগাঁওয়ের বাসিন্দা আরও দুই ছাত্রী।
আরও পড়ুন: মেয়েদের গায়ের চামড়া তুলে রমরমিয়ে চলছে পুরুষাঙ্গ বড় করার ব্যবসা
পুলিশ সূত্রে খবর, একই স্কুলের পড়ুয়া হলেও তাঁরা কেউই একই ক্লাসের বা একই গ্রামের বাসিন্দা ছিল না। তাদের মধ্যে যে খুব একটা বন্ধুত্ব ছিল তেমনটাও নয়। তবে কি অবসাদে ভুগছিল ওই ছাত্রীরা? মৃতদের পরিবারের দাবি, তেমন কিছু তারা বুঝতে পারেনি। কারণ, সকলের সঙ্গেই খুব স্বাভাবিক ভাবেই মেলামেশা করত ওই ছাত্রীরা। এমনকী স্কুলের সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও এখনও পর্যন্ত কোনও কূল-কিনারা খুঁজে পায়নি পুলিশ। তবে পর পর একই স্কুলের ছয় ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাকে একেবারেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না বাহরি থানার টাউন ইনস্পেক্টর কুমার মারাস্কোলে। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না তার খোঁজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।