অযোধ্যার রাম মন্দির। ফাইল চিত্র।
দীপাবলীতে এ বার আরও আঁটসাঁট করা হল অযোধ্যার নিরাপত্তা। তিন দিন ধরে দীপোৎসব চলবে। তার আগেই গোটা অযোধ্যাকে দুর্গে পরিণত করে ফেলা হয়েছে। পুলিশ তো আছেই, নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে এনএসজি কম্যান্ডো এবং আধাসেনা এবং সন্ত্রাসদমন শাখা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেখানে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাম মন্দির-সহ এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে ৫০০০ পুলিশ, ১৫০ এনএসজি কম্যান্ডো, সন্ত্রাসদমন শাখা। সরয়ূ নদীর তীরে দীপ জ্বালানো হবে। সাজিয়ে তোলা হবে রাম মন্দিরকেও। আর এটাই রাম মন্দিরের প্রথম দীপাবলি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই দীপোৎসব ঘিরে উন্মাদনা থাকবে। ভিড়ও হবে। এই পরিস্থিতিতে শহরে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই অযোধ্যানগরীর প্রতিটি কোনা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।
পুলিশ, এনএসজি কম্যান্ডোর পাশাপাশি থাকছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জলপুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং আরও উদ্ধারকারী দল। সরযূ নদীতে প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানো হবে। দীপাবলিতে অযোধ্যার নিরাপত্তা নিয়ে সোমবারই পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন পুলিশ সুপার রাজকরণ নায়ার। মন্দির শহরে দীপোৎসব যাতে মৃসণ ভাবে পালন করা যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশ সুপারের।
দীপাবলিতে বারাণসী এবং অযোধ্যাকে আলোয় সাজিয়ে তোলা হয় প্রতি বছরই। এই দীপোৎসবকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন নতুন রেকর্ডের উদ্যোগও নেওয়া হয়। এ বার এই দীপোৎসবের কেন্দ্রবিন্দু অযোধ্যার রাম মন্দির। স্বাভাবিক ভাবেই রাম মন্দিরকে নয়া সাজে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন পুণ্যার্থীরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার সরযূ নদীর তীরে ২৮ লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হবে। আর এই দীপোৎসবের মধ্যে দিয়েই নতুন রেকর্ডের প্রস্তুতিও তুঙ্গে অযোধ্যায়।