ইটভাটা থেকে পাঁচ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত।
কাজ সেরে রাতেই ইটভাটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বেশ কয়কে জন শ্রমিক। বুধবার সকালে ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের মহাসামুন্দ জেলায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ইঠভাটার ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ শ্রমিকের। ইটভাটার এক শ্রমিকদের দাবি, প্রতি দিনের মতোই কাজ সেরে রাতে ঘুমোতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েক জন। রাতে ইট পোড়ানোর কাজও চলছিল। সেই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছিল।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইট পোড়ানোর সময় সেই ধোঁয়ায় কি মৃত্যু হয়েছে শ্রমিকদের, বিষয়টি স্পষ্ট নয়। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যু কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ইটভাটাটি বেআইনি ভাবে চালানো হচ্ছিল। ইটভাটার মালিককে খোঁজা হচ্ছে। ইটভাটায় কোনও রাসায়নিক গ্যাসের কারণে এই মৃত্যু কি না তা জানার চেষ্টা চলছে। না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা সকলেই গড়ফুলাঝড়ের বাসিন্দা।
মহাসামুন্দ জেলার পুলিশ সুপার ধর্মেন্দ্র চাবাই বলেন, “মঙ্গলবার রাতে ইট পোড়াতে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ৬ শ্রমিক। বুধবার সকালে তাঁদের অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস থেকেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।”