নিশানায় বাঙালি, চতুর্থীর দিন গুয়াহাটিতে আলফার বিস্ফোরণে জখম ৪

আজ বেলা ১২টা নাগাদ, মন্দির লাগোয়া রাস্তায়, বাসস্ট্যান্ডের কাছেই বিস্ফোরণটি ঘটে। সামনে দাঁড়ানো বাসের কাচ ভেঙে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১৬
Share:

পুলিশের ‘কড়া নজরদারি’ থাকা সত্ত্বেও রাস্তার পাশে কী ভাবে জঙ্গিরা আইইডি পুঁতল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ। ছবি: পীতাম্বর নেয়ার

এনআরসি (নাগরিকপঞ্জি) বিরোধী বাঙালি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে চতুর্থীর দিন গুয়াহাটিতে, শুক্রেশ্বর মন্দিরের কাছে বিস্ফোরণ ঘটাল আলফা (স্বাধীন)। রাস্তার পাশে রাখা বোমা ফেটে জখম এক দম্পতি-সহ ৪ জন। বিস্ফোরণের কিছু ক্ষণ আগেই ওই রাস্তা দিয়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়।

Advertisement

আজ বেলা ১২টা নাগাদ, মন্দির লাগোয়া রাস্তায়, বাসস্ট্যান্ডের কাছেই বিস্ফোরণটি ঘটে। সামনে দাঁড়ানো বাসের কাচ ভেঙে যায়। জখম হন মালিগাঁও গোশালার বাসিন্দা নাড়ু দাস ও স্ত্রী বিনীতা। তাঁরা মোটরবাইকে পুজোর বাজার করতে যাচ্ছিলেন। বিনীতাদেবীর আঙুল বাদ পড়তে পারে। আহত বামুনিমৈদামের কল্পজ্যোতি তালুকদার ও হাতিগাঁওয়ের তাইফুদ্দিন আহমেদ। সকলকে মহেন্দ্রমোহন চৌধুরি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আতঙ্ক ছড়ায় ফ্যান্সিবাজার, পানবাজারে।

মন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, ডিজিপি কুলধর শইকিয়া, গুয়াহাটির কমিশনার প্রদীপ শালৈ ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের ‘কড়া নজরদারি’ থাকা সত্ত্বেও রাস্তার পাশে কী ভাবে জঙ্গিরা আইইডি পুঁতল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ। ডিজিপি বলেন, কী ধরণের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তার ফাঁকফোকর নিয়েও তদন্ত হবে।

Advertisement

আলফা (স্বাধীন)-এর সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, বিস্ফোরণ তাঁরাই ঘটিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যে সব বাঙালি সংগঠন এনআরসির বিরোধিতা করছে, যারা হিন্দু বাঙালিদের অসমের বাসিন্দা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চাইছে এবং যারা নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরণ।’’ কিন্তু বিস্ফোরণের ‘স্থান ও কাল’ ভুল হওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেন পরেশ। জখমদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন তিনি।

সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘‘পরেশের ক্ষমা চাওয়া উচিত। অসমের শান্ত পরিস্থিতি আলফার সহ্য হচ্ছে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement