মারধরের জেরে পঙ্কজ ঠাকুর নামে মধ্য দিল্লির এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
রাস্তার দাঁড় করানো মোটরবাইক সরানো নিয়ে পার্টিফেরত দুই যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন দিল্লির এক বাসিন্দা। তাঁদের বচসা গড়ায় ধস্তাধস্তিতে। অভিযোগ, সে সময় ওই বাসিন্দাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন যুবকেরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বাসিন্দাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় পলাতক অভিযুক্তদের রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্য দিল্লির রাজেন্দ্রনগর এলাকায় পার্টিফেরত দুই যুবকের মারধরে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন পঙ্কজ ঠাকুর (৩৯) নামে মধ্য দিল্লির এক বাসিন্দা। তাঁকে মারধরের অভিযোগে মণীশ কুমার এবং লালচাঁদ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনের বয়স যথাক্রমে ১৯ ও ২০।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) সঞ্জয় সেন জানিয়েছেন, এক মুদিখানায় সহকারী হিসাবে কাজ করতেন পঙ্কজ। পাশাপাশি, মুদির দোকানের জিনিসপত্র রাজেন্দ্রনগর এলাকায় ডেলিভারির কাজও করতেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ রাস্তার ধারে একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। কাছেই তাঁর মোটরবাইকটি দাঁড় করানো ছিল। অভিযোগ, সে সময় পার্টিফেরত দু’জন গাড়িতে করে সেখানে হাজির হন। পঙ্কজকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন তাঁরা। এমনকি, রাস্তায় কেন বাইকটি দাঁড় করানো রয়েছে, তা নিয়েও তর্ক জুড়ে দেন। ওই পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘রাস্তায় জায়গা নিয়ে তিন জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল। মণীশ এবং লালচাঁদ গাড়ি থেকে নেমে পঙ্কজকে ওই জায়গা থেকে চলে যেতে বলেন। বাইকের উপর বসা পঙ্কজকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে মারধরও করেন।’’
পুলিশকর্তা আরও জানিয়েছেন, মারধরের পর ঘটনাস্থল থেকে চলে যান অভিযুক্তেরা। পরে জখম অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই মারা যান পঙ্কজ।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, অন্তত দু’টি অপরাধের মামলায় জড়িত মণীশ।