মাধ্যমিকের প্রথম কুড়িজনের মধ্যে চলে এল করিমগঞ্জের তিন ছাত্র। মেধা তালিকায় ১২ নম্বর স্থানে রয়েছে ফজল আহমেদ, ১৫ নম্বরে তনবির বিশ্বাস ও ২০ নম্বরে রয়েছে শাকিল আখতার। ফজল ও শাকিল করিমগঞ্জের আল আমিন অ্যাকাডেমির ছাত্র। তনবির পড়ত শৈলজা বিশ্বাস মণিমুক্তা বিদ্যামন্দিরে। ৬০০ নম্বরের পরীক্ষায় ফজল, তনবির ও শাকিল পেয়েছে যথাক্রমে ৫৭৪, ৫৭১ ও ৫৬৬ নম্বর।
মাধ্যমিকে করিমগঞ্জ জেলায় মোট ১১ হাজার ৩৭০ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে ৫ হাজার ৭৮০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। শতকরার হিসেবে পাশের হার ৫০.৮৩ শতাংশ। যদিও জেলার বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে পাশের হার গড়ে একশো শতাংশ। তুলনায় অকৃতকার্যতার সংখ্যা বেশি সরকারি স্কুলগুলিতেই।
করিমগঞ্জের রোল্যান্ডস মেমোরিয়াল ইংলিশ হাইস্কুলের ছাত্র রাজর্ষি দাস বিজ্ঞানে একশোয় একশো পেয়েছে। অনুরূপভাবে সরস্বতী বিদ্যালয়ের প্রীতম রায় গণিতেও একশোয় একশো পেয়েছে। এই দুই বিদ্যালয়ের কর্তারা দাবি করছেন, এই দু’জন বিষয় অনুযায়ী সেরা ছাত্র হিসেবে গণ্য হবে। রাজর্ষির স্কুলের ৬১ জন ছাত্রছাত্রীর সবাই পাশ করেছে। প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬০ জন ছাত্র এবং দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ জন। সরস্বতী বিদ্যালয়ের ৪৭ জন ছাত্র প্রথম বিভাগে, ৮ জন দ্বিতীয় বিভাগে এবং ২ জন তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। করিমগঞ্জের সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯০ জন ছাত্রের মধ্যে ৭৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। ৩৬ জন প্রথম বিভাগে, ৩৪ দ্বিতীয় এবং ১৫ জন তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। মদন মোহন মাধবচরণ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ২০২ জন ছাত্রীর মধ্যে ১৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রথম বিভাগে ২৬, দ্বিতীয় বিভাগে ৮০ এবং তৃতীয় বিভাগে ৩৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।