প্রতীকী ছবি।
নির্ভয়া-কাণ্ড, হাথরস কিংবা সদ্য ঘটে যাওয়া বদায়ূঁর স্মৃতি উস্কে ফের ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনা। এ বার ঝাড়খণ্ডের ছাতরায় মধ্যবয়সী এক বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৩ জনের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পর ওই মহিলার গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল ধাতব গ্লাস।
গত বৃহস্পতিবার ছাতরার হান্টারগঞ্জ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত ১০টা নাগাদ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বছর পঞ্চাশের ওই মহিলা। সেই সময় ৩ ব্যক্তি তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। গণধর্ষণের কথা জানালে ওই মহিলাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকিও দেয় দুষ্কৃতীরা। এর পর তারা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়।
বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও ওই মহিলা বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হান্টারগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে গয়ার অনুগড় নারায়ণ মগধ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন: এ মাস থেকে ডিএ বৃদ্ধি রাজ্য সরকারি কর্মীদের, মিলবে ২ লক্ষাধিক বেতনেও
আরও পড়ুন: ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না অওরঙ্গজেব, নাম বদলের সাফাই উদ্ধবের
ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃতীয় অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তার সন্ধানে চলছে পুলিশি তল্লাশি। ছাতরার পুলিশ সুপার ঋষভ ঝা জানিয়ে দিয়েছেন, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করবে পুলিশ। দ্রুত বিচার শুরুর ব্যাপারেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
গত রবিবার নির্ভয়া-কাণ্ডের স্মৃতি উস্কে উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁ জেলার উঘৈতি থানা এলাকায় এমনই এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া ৫০ বছরের এক মহিলাকে গাড়িতে তুলে নৃশংস অত্যাচার চালান অভিযুক্তরা। ধর্ষণের পর তাঁর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে ভেঙে দেওয়া হয় পাঁজরের হার। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর পা-ও। তার পর রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তায় মহিলার দেহ ফেলে চলে যান অভিযুক্তরা। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে যোগীরাজ্যের পুলিশ।