স্নানঘাটের আশপাশে সারি সারি নিষ্প্রাণ দেহ। মাটিতে রক্তের দাগ। ঘনঘন অ্যাম্বুল্যান্সের বাঁশি। আর স্বজনহারাদের কান্না।
পুষ্করম উৎসবের প্রথম দিনেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। গোদাবরীর জলে পুণ্য স্নান সারতে এসেই প্রাণ হারালেন ২৭ জন পুণ্যার্থী। যাঁদের অধিকাংশই মহিলা। জখম ৩৪। দুর্ঘটনার মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। উত্তরের কুম্ভ মেলার মতোই ১২ বছর অন্তর দক্ষিণে গোদাবরীর তীরে পুষ্করম উৎসবের আয়োজন হয়। মহা কুম্ভের মতো এ বারেরটা হল মহা পুষ্করম। জ্যোর্তিবিদরা বলছেন, মহা পুষ্করমের এই ক্ষণ আসে ১৪৪ বছর পর পর! তার জন্যই এ বারের উৎসব আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা দুই রাজ্য মিলিয়ে ১২ দিনব্যপী উৎসবে দু’কোটি চল্লিশ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হবে বলে হিসেব ছিল প্রশাসনের। সেই মতো সর্তকতাও জারি ছিল। ভিড় সামাল দিতে গোদাবরীর তীরে ২৭৫টি পৃথক স্নানঘাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। উৎসবের আয়োজন বারবার খতিয়ে দেখে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। তবুও শেষ রক্ষা হল না।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতির খবর নিয়েছেন তিনি। পরে টুইট করেছেন, ‘‘রাজামুন্দ্রির ঘটনায় শোকাহত। মৃতদের পরিবারের পাশে আছি। আহতদের জন্য প্রার্থনা করছি।’’ চন্দ্রবাবু নায়ডু আজ দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রয়োজনে উৎসবের বাকি ১১ দিন রাজামুন্দ্রিতেই থেকে যাওয়ার কথা বলেছেন।