প্রতীকী ছবি।
বর্ষশেষেও পাকিস্তানি হামলা থেকে রেহাই পেল না কাশ্মীর। আজ ভোরে নওগাম সেক্টরে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে বড়সড় হামলার চেষ্টা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। ভারতের পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছেন দুই পাক সেনা। পাকিস্তানের আবার দাবি, ‘বিনা প্ররোচনা’য় গুলিবর্ষণ করেছে ভারতীয় সেনা। তাতে এক মহিলা নিহত হয়েছেন।
সেনা জানিয়েছে, আজ ভোরে নওগামে ভারতীয় পোস্ট লক্ষ্য করে মর্টার ও রকেট হামলা শুরু করে পাকিস্তানি সেনা। জবাব দেয় ভারতও। কিছু ক্ষণ পরেই ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ঘন জঙ্গলে সন্দেহজনক গতিবিধি দেখতে পান ভারতীয় সেনার জওয়ানেরা। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। কিছু ক্ষণের মধ্যেই অনুপ্রবেশকারীদের দলের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সেনা জানিয়েছে, সংঘর্ষে নিহত দুই অনুপ্রবেশকারীর পরনে পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর উর্দি রয়েছে। অনুপ্রবেশকারী দলের বাকিরা বিএসএফ ও ভারতীয় সেনার পুরনো উর্দি পরেছিল। সেনা অফিসারদের মতে, ভারতীয় বাহিনীর চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যই এই কৌশল নিয়েছিল পাকিস্তান। সেনার দাবি, নিহত দুই অনুপ্রবেশকারী পাক সেনার ব্যাট বাহিনীর সদস্য। বেশ কয়েক বার কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে পাক সেনার এই বাহিনী। অনেক সময়ে ব্যাটের দলে পাক কম্যান্ডোদের পাশাপাশি থাকে জঙ্গিরাও। সেনা গোয়েন্দাদের মতে, নিহত দুই পাক সেনা সে দেশের বিশেষ বাহিনী এসএসজি-র কম্যান্ডো। অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ও রসদ ছিল।
সেনা জানিয়েছে, পাক রকেট ও মর্টার হামলার সুযোগে বাকি অনুপ্রবেশকারীরা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পালিয়ে যেতে পেরেছে। তাদের দাবি, পাক সেনা নববর্ষের আগে নওগামের ভারতীয় সেনা পোস্টে বড় হামলার ছক কষেছিল।
সেনা মুখপাত্র জানান, নিহত দুই পাক সেনার মৃতদেহ ফেরত নিতে পাকিস্তানকে অনুরোধ করা হবে। তবে আগে বেশ কয়েক বার সেনাদের দেহ ফেরত নিতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পাল্টা দাবি, ‘বিনা প্ররোচনা’য় শাহকোট সেক্টরে জনবসতি এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাতে আসিয়া বিবি নামে এক মহিলা নিহত হয়েছেন।