ভুয়ো কল সেন্টার খুলে একের পর এক মানুষকে ঠকিয়েছেন দুই অভিযুক্ত। —প্রতীকী চিত্র।
দেশব্যাপী দু’জনে মিলে ঠকিয়েছেন ১,৭৮৪ জনকে। সেই তালিকায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। চাকরি দেওয়ার নামে বিপুল আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে দুই ব্যক্তি। শনিবার তাঁদের গ্রেফতার করেছে ফরিদাবাদ পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম প্রভাত এবং ওমপ্রকাশ। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বিভিন্ন জায়গার লোক ঠকানোর অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রভাত এবং ওমপ্রকাশের অফিস ফরিদাবাদের রোহিণী এলাকায়। বেকারদের বিভিন্ন রকম চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণা করতেন এই দু’জন। বৃহস্পতিবার আচমকা ওই অফিসে অভিযান চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয় নগদ ৬৪ হাজার টাকা এবং ১৩টি সিম কার্ড।
ফরিদাবাদের সাইবার ক্রাইম বিভাগ জানিয়েছে, এই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে সম্প্রতি এক মহিলার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে। তাঁর অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এই এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তার পর যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে চমকে গিয়েছেন তদন্তকারীরাও। পুলিশ জানায়, মূলত ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন দিতেন অভিযুক্তরা। সেখানে ইচ্ছুকদের জন্য দেওয়া হত একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। সেখানে মেসেজ করলেই শুরু হত ‘খেলা’। বড় বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কখনও রেজিস্ট্রেশন ফি, কখনও ইসিএস চার্জ তো কখনও জিএসটি বা ক্যুরিয়ার চার্জের নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন এই দু’জন। এই ভাবে দেড় হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন তাঁরা।
হরিয়ানায় ৫৯ জন, উত্তর প্রদেশে ৫৬৩, রাজস্থানে ২১২, তেলঙ্গানায় ১৪১, দিল্লিতে ১৩৮, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে ১০০-র বেশি মানুষকে ঠকিয়েছেন অভিযুক্তরা। সব মিলিয়ে প্রতারিতদের সংখ্যা ১,৭৮৪ জন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং সাইবার অপরাধের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আপাতত হাজতে রয়েছেন দুই প্রতারক।