ফাইল চিত্র।
অবৈধ ভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি বলে দু’জনকে ধরে ২০১৮-র অগস্টে সীমান্তের ও পারে পাঠিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন। ছ’মাস পরে দিল্লিতে ফিরে এসে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন ২৬ বছরের মহম্মদ কামাল ও তাঁর কাকা মহম্মদ সালাম। সরকারের বিরুদ্ধে কালামের অভিযোগ, বৈধ ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর অসুস্থ মা, নাবালক ভাই, কাকা সালাম-সহ তাঁকে আটক করে প্রশাসন। তাঁদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, স্কুলে পড়ার প্রমাণ, এমনকি তাঁর ও কাকার জন্মের শংসাপত্র দেখানো হয়। তার পরেও তাঁকে ও কাকাকে বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে গিয়ে পুশ ব্যাক করা হয়। অসুস্থ বলে মা ও নাবালক বলে ভাইকে রেহাই দেওয়া হয়।
কালাম ও সালাম দিল্লি হাইকোর্টে জানিয়েছে, তাঁদের দু’জনেরই জন্ম দিল্লিতে। জন্মসূত্রে তাঁরা ভারতীয় নাগরিক। আদালতের কাছে পরিবারটির আর্জি, অবৈধ ভাবে বসবাসকারী বলে আর যেন তাঁদের শাস্তি না-দেওয়া হয়। নাগরিক হিসাবে তাঁদের মৌলিক অধিকারও যেন রক্ষা করা হয়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের মধ্যে নজর কেড়েছে এই মামলা।
কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে আদালতে বলেছে, ‘অবৈধ ভাবে বসবাসের জন্য কালাম ও সালামকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। ফের তাঁরা অবৈধ পথে দিল্লিতে পৌঁছেছেন।’ আগামী ২১ তারিখ মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।