গৃহস্থকে বোকা বানিয়ে সোনার অলঙ্কার চুরির ‘ব্যবসা’ ফেঁদে বসেছিল এক যুবক। তদন্ত শুরু করে তাকে গ্রেফতার করা হল। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া গয়নাও। করিমগঞ্জের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে চারশো গ্রাম সোনার অলঙ্কার মিলেছে। যার বাজারদর ১৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপরঞ্জন কর আজ জানান, ধৃতের নাম হাফিজুল হক। ওই যুবক অন্য কয়েকটি চুরির ঘটনাতেও অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর করিমগঞ্জের হামিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা তৈবা খানম চৌধুরীর বাড়ি থেকে ওই গয়না চুরি করেছিল হাফিজুল। অভিযোগের ভিত্তিতে গত কাল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দু’টি সোনার হার উদ্ধার করা হয়েছিল। ধৃতের বক্তব্য, তৈবা খানম তার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। টাকা ফেরত দিতে না পেরে সোনার হার দু’টি তাকে দেন। কিন্তু অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, হারের পাশাপাশি চুড়ি, কয়েকটি নেকলেস, আংটিও চুরি করেছে হাফিজুল। পরে ধৃতের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে অন্য অলঙ্কারের গদিস মেলে। পুলিশের অনুমান, ঝাড়ফুঁক করার আড়ালে গৃহস্থ বাড়িতে ঢুকে চুরি করে পালাত হাফিজুল। অন্য কোনও ঘটনার সঙ্গে তার যোগসাজস রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রতারণার শিকার এডিএম। জালিয়াতদের শিকার হলে খোদ করিমগঞ্জের অতিরিক্ত জেলাশাসক। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়ে দুষ্কৃতীরা ফোনে তাঁর কাছ থেকে এটিএম কার্ডের সমস্ত বিবরণ জেনে নিয়েছিল। তার পরই অতিরিক্ত জেলাশাসকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।