প্রতীকী ছবি।
ভারতে জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই ছক কষছিল চক্রটি। তামিলনাড়ুতে তাদের একটি সংগঠনও গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছিল। সে কারণে দুবাইতে অর্থ সংগ্রহ করাও শুরু করেছিল। তবে আরবশাহির পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই ব্যক্তিরা। মাস ছয়েক সে দেশের জেলে বন্দি থাকার পর সোমবার তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন আরবশাহি কর্তৃপক্ষ। জঙ্গি হামলার জন্য অর্থ সংগ্রহ, দেশের নাশকতামূলক হামলার ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে ওই চক্রের ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
এনআইএ সূত্রের খবর, সোমবার অভিযুক্তদের দিল্লি থেকে একটি বিশেষ বিমানে চেন্নাইতে উড়িয়ে আনা হয়। পুন্নামালীতে এনআইএর বিশেষ আদালতে তোলা হলে ২৫ জুলাই পর্যন্ত তাদের তদন্তকারীদের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এনআইএর দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে আইএস, আল কায়দা ছাড়াও আনসারুল্লা নামে ইয়েমেনের একটি জঙ্গি সংগঠনের সমর্থক তারা। ওয়াহাদাত-ই-ইসলাম, জামাত ওয়াহাদাত-ই-ইসলাম আল জিহাদিয়ে এবং জিহাদিস্ত ইসলামিক ইউনিট-এর মতো একাধিক নামে কাজকর্ম চালাত ওই চক্রটি। তামিলনাড়ুতে আনসারুল্লার সংগঠন গড়ে তোলার জন্য অর্থও সংগ্রহ করেছিল। এইআইএর বিশেষ কৌঁসুলি সি এস এস পিল্লাই বলেন, ‘‘ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এ দেশে ইসলামিক রাজ গড়ে তোলার জন্য আরবশাহিতে টাকা তুলছিল তারা। সেখানেই তাদের আটক করেন আরবশাহি পুলিশ।’’
আরও পড়ুন: পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল, ফের ‘প্রিয়ঙ্কা লাও কংগ্রেস বাঁচাও’ দাবি দলে
আরও পড়ুন: জীবন-মৃত্যুর ব্যবধান ১০ মিনিট! জ্বালানি শেষের মুখে জরুরি অবতরণ বিমানের, রক্ষা ১৫৩ জন যাত্রীর
আরও পড়ুন: চাপে সক্রিয় পাকিস্তান, অবশেষে গ্রেফতার মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদ
তদন্তকারী আধিকারিকের জানিয়েছেন, এই মামলার সূত্র ধরেই গত শনিবার হাসান আলি ও হরিশ মহম্মদ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের জেরা করে নাগাপট্টিনম জেলার তিনটি জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয়। তল্লাশিতে ৯টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিম কার্ড, ৭টি মেমরি কার্ড, ৩টি ল্যাপটপ, ৫টি হার্ড ডিস্ক, ৬টি পেন ড্রাইভ, ২টি ট্যাবলেট-সহ একাধিক সিডি-ডিভিডি এবং বই, নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই দু’জনকে জেরা করেই তামিলনাড়ুর আরও ১৪ জনের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।