তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু। ফাইল চিত্র।
তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডুতে ‘পশুর চর্বি’ নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, সেই আবহেও লাড্ডু বিক্রিতে ভাটা পড়েনি সেখানে। মন্দির প্রশাসন সূত্রে খবর, এই বিতর্কের মধ্যেই চার দিনে ১৪ লক্ষেরও বেশি লাড্ডু বিক্রি হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতির শ্রী বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে প্রতি দিন ৬০ হাজার পুণ্যার্থী আসেন। কয়েক দিন আগেই প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সেই বিতর্ক এখন মন্দির চত্বর ছাড়িয়ে রাজ্য রাজনীতির আঙিনায় পৌঁছে গিয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, এই বিতর্ক পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টেও। তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে যখন হইচই চলছে, তার মধ্যেই মন্দির প্রশাসনের দাবি, প্রসাদী লাড্ডুর বিক্রিতে এই বিতর্কের কোনও রকম ‘প্রভাব’ই পড়েনি।
আর সেই স্বপক্ষে বিক্রির পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দির প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ১৯ সেপ্টেম্বর লাড্ডু বিক্রি হয়েছে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার। ২০ সেপ্টম্বর বিক্রি হয়েছে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার, ২১ সেপ্টেম্বর ৩ লক্ষ ৬০ হাজার, ২২ সেপ্টেম্বর বিক্রি হয়েছে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার লাড্ডু। দৈনিক গড়ে যে পরিমাণ লাড্ডু বিক্রি হয়, সেই পরিমাণই বিক্রি হয়েছে বলে দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষের। তাঁদের আরও দাবি, পুণ্যার্থীদের মধ্যে এই বিতর্ক কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি। বিতর্ককে তাঁরা কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছেন না। ফলে লাড্ডুর চাহিদায় কোনও প্রভাব পড়েনি।
তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যটি। অভিযোগ, প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হয়েছিল পশুর চর্বি। গুজরাতে এক সরকারি ল্যাবরেটরির রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সম্প্রতি এমনই দাবি করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনা ঘটেছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির আমলে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জগনের দল ওয়াইএসআরসিপি। তার পরেও বিতর্ক থামেনি। বিতর্কের আবহে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবুর কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।