রেল সূত্রের খবর, লক্ষ্য পূরণে নিরন্তর তাগাদা এবং রেলমন্ত্রীর কঠোর নীতির মুখে পড়েই এই অবস্থা। প্রতীকী ছবি।
অদক্ষতার জন্য কার্যত ছাঁটাই করা হয়েছে ৩৮ জনকে। তাঁদের কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ছিল। অন্য দিকে, স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন ১০১ জন। ১৬ মাসে এ ভাবে ১৩৯ জন রেলকর্তা চাকরি ছেড়েছেন বা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে রেল সূত্রের খবর। সারা দেশে কর্মসংস্থানের অন্যতম বৃহৎ সরকারি সংস্থা রেলে কখন এমন ঘটনা ঘটছে? যখন প্রাক্তন আমলা অশ্বিনী বৈষ্ণব রেলমন্ত্রীর পদে আসীন।
রেল সূত্রের খবর, লক্ষ্য পূরণে নিরন্তর তাগাদা এবং রেলমন্ত্রীর কঠোর নীতির মুখে পড়েই এই অবস্থা।
রেল সূত্রের বক্তব্য, ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং সার্ভিসের ৫৬(জে), এফআর ৫৬(১) এবং ৪৮(১)(বি) আইনের ধারায় কাজ করতে না-পারার অভিযোগে তিন মাসের নোটিসে চাকরি খোয়াতে হয়েছে ৩৮ জনকে। আর যাঁরা স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন, তাঁদের অবশিষ্ট কর্মজীবনের বছর-পিছু দু’মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে।
রেলের একাংশের বক্তব্য, দুর্নীতিগ্রস্ত, অসৎ পদস্থ কর্তাদের সরিয়ে যোগ্যদের গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু অনেক রেলকর্তার মতে, কর্মীর অভাব আছে। কম লোকবল নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চালানোর চাপ আছে। উপরন্তু, আর্থিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের চাপ এসে পড়ায় কর্তাদের অনেকেই আর চাকরি করতে চাইছেন না।