Orissa High Court

২৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! ১৩ বছরের ‘ধর্ষিতা’কে গর্ভপাতের অনুমতি দিল ওড়িশা হাই কোর্ট

গত বছর তফসিলি উপজাতিভুক্ত এক নাবালিকাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিলেন স্থানীয় এক যুবক। ভয়ে নাবালিকা সে কথা কাউকে জানায়নি। কিন্তু ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৫ ১২:৫২
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল ১৩ বছরের কন্যা। প্রায় সাত মাস গর্ভধারণের পর তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল ওড়িশা হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ওই নাবালিকার নানা জটিল শারীরিক রোগ রয়েছে। এই অবস্থায় প্রসবও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে গর্ভপাতে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ওড়িশার কন্ধমাল জেলার। গত বছর তফসিলি উপজাতিভুক্ত ওই নাবালিকাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছিলেন স্থানীয় এক যুবক। ভয়ে নাবালিকা সে কথা কাউকে জানায়নি। কিন্তু ধর্ষণের ফলে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মেয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান পরিজনেরা। তখনই জানা যায়, কিশোরী ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে অন্তঃসত্ত্বা, যা গর্ভপাত আইনে নির্ধারিত ২৪ সপ্তাহের সীমা অতিক্রম করেছে।

সাধারণত গর্ভপাত আইন অনুসারে, ২০ সপ্তাহের বেশি গর্ভধারণের পর গর্ভপাত করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা হলে কিংবা ধর্ষণের মতো ঘটনার ক্ষেত্রে ২৪ সপ্তাহের বেশি গর্ভধারণের পরেও গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সংবিধান অনুযায়ী বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের পরেও আদালত গর্ভপাতের অনুমতি দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিশোরী যৌন নির্যাতনের শিকার। তার সিকল সেল অ্যানিমিয়া এবং মৃগীরোগের মতো নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যার ফলে প্রসবে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হল।

Advertisement

ওড়িশা হাই কোর্টে মামলাটি শুনেছেন বিচারপতি এসকে পানিগ্রাহী। তাঁর কথায়, শিশুকে জোর করে জন্ম দেওয়া সংবিধানের ২১ তম অনুচ্ছেদের অধীনে তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করবে। সঙ্গে রায়দানের সময় নারীদের প্রজননের অধিকারের উপরেও জোর দিয়েছেন বিচারপতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement