ভোপালে ডিজের শব্দে মৃত্যু হয়েছে কিশোরের। —প্রতীকী চিত্র।
উৎসব উপলক্ষে তারস্বরে গান বাজানো হচ্ছিল পাড়ায়। ডিজের সেই তীব্র শব্দে প্রতিবেশীদের কান ঝালাপালা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, বার বার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও শব্দের মাত্রা কমানো হয়নি। সেই শব্দই কেড়ে নিল প্রাণ। ১৩ বছরের কিশোরের মৃত্যু হল গানের তালে তালে নাচতে গিয়ে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের। মৃত কিশোরের নাম সমর ভিলোরে। তার পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, উৎসব উপলক্ষে পাড়ায় গান বাজানো হচ্ছিল। অনেকে সেই গানের তালে নাচছিলেন। কিশোর তা দেখতে পেয়ে উৎসবে যোগ দেয়। নাচতে নাচতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। কিন্তু কিছু ক্ষণ ওই তীব্র শব্দে নাচার পর সংজ্ঞা হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় সে।
পরিবারের অভিযোগ, গান এতটাই জোরে বাজানো হয়েছিল এবং সকলে এতটাই মত্ত ছিলেন যে, কিশোর পড়ে যাওয়ার পরেও তা কেউ লক্ষ্য করেননি। তাকে ধরে তার মা চিৎকার করে কান্নাকাটি করলেও অনেকে তা প্রথমে শুনতেই পাননি। নাচগান চলছিল তার পরেও। আরও বেশ কিছু ক্ষণ পরে গান থামানো হয়। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কিশোরের মা জানিয়েছেন, তাঁর পুত্রের হার্টের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। সেই কারণেই তারস্বরে গান বাজলে তাঁরা বরাবর আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। কিশোর সুস্থ ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাড়ায় যে সমস্ত বাড়িতে শিশু, বৃদ্ধ অথবা অসুস্থ কেউ রয়েছেন, সেই সমস্ত বাড়ি থেকেও গানের শব্দে আপত্তি জানানো হয়। কিন্তু কোনও আপত্তিতেই কান দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
কোনও জায়গায় শব্দের স্বাভাবিক মাত্রা থাকা উচিত দিনে ৫৫ ডেসিবল এবং রাতে ৪৫ ডেসিবলের নীচে। সূত্রের খবর, ভোপালের গৌতম নগর, জাম্বুরি ময়দান, জাহাঙ্গিরাবাদের মতো জায়গায় গত কয়েক দিন ধরে শব্দের মাত্রা ৯০ থেকে ১০০ ডেসিবলের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। শব্দদূষণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের কড়া নির্দেশ থাকলেও প্রশাসন তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।