রাঁচীর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলছে কোভিড-১৯ পরীক্ষা। প্রতীকী ছবি।
বড়দিনের আগের দিন থেকে ইংরেজি নববর্ষের পর মোট ১১ দিন বিদেশ থেকে আসা ১২৪ জনের দেহে কোভিডের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তার মধ্যে ১১টি ওমিক্রনের উপরূপে আক্রান্তের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে এই খতিয়ান জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই সূত্রে আরও খবর, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আকাশপথে, স্থল ও জলপথে এ দেশে এসেছেন মোট ৯.০৫ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে ১৯,২২৭ জনের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই যাত্রীদের মধ্যে ১২৪ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তাঁদের মধ্যে ৪০ জনের নমুনার ‘হোল জিনোম সিকোয়েন্সিং (ডব্লিউএসজি) করে দেখা গিয়েছে যে, ওমিক্রনের ১১টি উপরূপে আক্রান্ত রয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ৪০টি নমুনার ডব্লিউএসজি করা হয়েছে। তার মধ্যে ওমিক্রনের উপরূপ এক্সবিবি, তারও উপরূপ এক্সবিবি.১, এক্সবিবি.২, এক্সবিবি.৩.৪.৫ পাওয়া গিয়েছে ১৪ জনের দেহে। ৯ জনের দেহে বিকিউ.১১ এবং তার উপরূপ বিকিউ১.১২২ এবং বিকিউ১.১.৫:৯ মিলেছে। এ ছাড়া, বিএ.৫.২ বিএফ৭.৪.১, সিএইচ.১.১ এবং সিএইচ ১.১.১-এর মতো উপরূপের সংক্রমণও ধরা পড়েছে।’’ আক্রান্তদের নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, ২৪ ডিসেম্বর থেকে প্রতিটি আন্তর্জাতিক উড়ান থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে ২ শতাংশের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ছাড়া, ১ জানুয়ারি থেকে চিন, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং তাইল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট প্রয়োজন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ, ভারতে আসার ৭২ ঘণ্টা আগে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে ওই যাত্রীদের। প্রত্যেক যাত্রীকেই তাঁর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট ‘সুবিধা’ পোর্টালে আপলোড করতে হবে।