লালু-নীতীশ জোট বনাম মোদীর ভাগ্য নির্ধারণের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে সোমবার। এই নির্বাচন বিজেপি এবং মহাজোটের একটা অ্যাসিড টেস্ট বলা যেতে পারে। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনার জন্য এমনিতেই কিছুটা অস্বস্তিতে বিজেপি। সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে বিহারে মোদীর ক্যারিশমা কি কাজে আসবে তা নিয়েই চলছে জল্পনা। বিজেপি যদি বিহারে তাদের আধিপত্য কায়েম রাখতে পারে, তা হলে মোদী আরও একটা নতুন জীবন পাবেন। এখন দেখার মোদী এই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হন কি না। আরও একটি কারণে এই নির্বাচন বিজেপির কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা হল, রাজ্যসভায় নিজেদের দল ভারী করা। লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও রাজ্যসভায় সদস্য সংখ্যা কম থাকার কারণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতে নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছে মোদীকে। এই নির্বাচন জিতে সেই রাস্তাটাও পরিষ্কার করে রাখতে চাইছেন তিনি।
অন্য দিকে, রাজ্যে জাতপাতের বিষয়টি যদি পর্যাচলোচনা করা হয় তা হলে নীতীশ এবং লালুর বেশ কয়েকটি দিক থেকে এগিয়ে। উন্নয়নকে হাতিয়ার করে সব ক’টি দল ময়দানে নামলেও জাতপাতের বিষয়টি একটা বড় ফ্যাক্টর। বিজেপি বনাম মহাজোটের এই নির্বাচনী যুদ্ধে কে জয়ী হবে প্রহর গুনছে সব রাজনৈতিক দলগুলি।
এ দিন রাজ্যের মোট দশটি জেলায় ৪৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। মোট প্রার্থী সংখ্যা ৫৮৩। সকাল সাতটা থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে। মাওবাদী প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনে ৪৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২৭টি, এলজেপি ১৩টি আসনে লড়ছে। অন্য দিকে, জেডিইউ ২৪, আরজেডি ১৭ এবং কংগ্রেস ৮টি আসনে লড়ছে।