— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এর মধ্যেই ধরা পড়েছে পাঁচটি মানুষখেকো নেকড়ে। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে। ষষ্ঠ তথা শেষ নেকড়েটির খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে বন দফতর। মঙ্গলবার রাতে ফের ঘরে ঢুকে ১১ বছরের নাবালিকাকে ঘাড় কামড়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল ‘সে’।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল ওই বালিকা। তখনই তাকে ঘাড় কামড়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে নেকড়েটি। জখম অবস্থায় ওই বালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
গত জুলাই মাস থেকেই মানুষখেকো নেকড়ের হামলায় তটস্থ বহরাইচ। সরকারি হিসাবে, নেকড়ের আক্রমণে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও অনেকে। নেকড়ের আতঙ্ক সিঁটিয়ে রয়েছেন ৩৫টি গ্রামের মানুষ। ইতিমধ্যে মানুষখেকোর দলকে ধরতে বিশাল আয়োজন করেছে বন দফতর। অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ভেড়িয়া’। প্রথম দিকে স্পষ্ট ছিল না যে, এটি একটি নেকড়ের কাজ, না কি আরও অনেক নেকড়ে রয়েছে সেই দলে। পরে জানা যায়, একা নয়, ছ’টি নেকড়ের একটি দল এই হামলা চালাচ্ছে। এর পর বন দফতরের পাতা ফাঁদে একে একে ধরা পড়েছে পাঁচটি নেকড়ে। এখনও বাকি এক। আর সেই অবশিষ্ট এক নেকড়েরই তাণ্ডবে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের।
বহরাইচে নেকড়ের দলের একের পর এক হামলাকে ‘বন্যপ্রাণী বিপর্যয়’ হিসাবে ঘোষণা করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। বন দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে বহরাইচের বিভিন্ন জায়গায় পাহারা দেওয়া শুরু করেছেন। মানুষখেকো নেকড়েদের ধরতে ২৫টি দল গঠন করা হয়েছে। সেই দলে রয়েছেন ১৮ জন শার্প শুটার। যে এলাকাগুলিতে নেকড়ের হামলা হচ্ছে, সেখানে স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য ২০০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবুও হামলা থামার নাম নেই। ষষ্ঠ নেকড়েটি ধরা না পড়া পর্যন্ত এখনই স্বস্তি ফিরছে না বহরাইচে।