উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা। ছবি: সংগৃহীত।
১০ হাজার টাকা ঘুষ, আর সেই ঘুষের সূত্র ধরেই কোটি কোটি টাকার হদিস পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগির আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের পরিচারক জাহাঙ্গির আলমের বাড়ি থেকে সোমবার ৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারে হুলস্থুল পড়ে গোটা রাজ্যে। ইতিমধ্যেই সঞ্জীব এবং তাঁর পরিচারককে গ্রেফতার করেছে ইডি। কিন্তু কী ভাবে এই টাকার হদিস পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?
সূত্রের খবর, রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ারের সূত্র ধরেই এই বিপুল পরিমাণ টাকার হদিস মিলেছে। তবে উল্লেখ্য যে, ওই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন ইডির হাতে। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। ইডি সূত্রে খবর, ধৃত ওই ইঞ্জিনিয়ারের নাম বীরেন্দ্র রাম।
ইডি সূত্রের খবর, বীরেন্দ্রকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই দফতরে দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। এই দুর্নীতির সঙ্গে বড় বড় মাথাও জড়িয়ে রয়েছেন বলে তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন বীরেন্দ্র। কী ভাবে এই দুর্নীতি হত, তা-ও তদন্তকারীদের কাছে খোলসা করেন এই ইঞ্জিনিয়ার। ঘুষের টাকা আসত বিভিন্ন টেন্ডারের মাধ্যমে। সেই টাকা নিচুতলা থেকে উপরতলা পর্যন্ত ভাগাভাগি হত। কিন্তু সেই টাকা কারা পেতেন, সেই উত্তর খোঁজারই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। একটি তালিকা তুলে দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের হাতে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে দুর্নীতির শিকড় খোঁজার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রে ধরেই এই দুর্নীতির এক পাণ্ডা মন্ত্রী আলমগির আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের খোঁজ পান। তার পরই সোমবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সূত্র ধরে তাঁর পরিচারকের হদিস পান তদন্তকারীরা। ওই পরিচারকের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়েই ৩৫ কোটি নগদ উদ্ধার হয়।