—প্রতীকী ছবি।
এই পৃথিবীতে একটি শিশু জন্ম হওয়ার পর শৈশব থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত, এমনকি, মৃত্যু পর্যন্ত তার অনেক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু জন্মের আগেই যে সম্পর্ক তৈরি হয়ে থাকে – তা হল মা-বাবা বা পিতা-মাতা। আমরা বিজ্ঞানের সাহায্যে অনেক উন্নতি করেছি, অভিনব অনেক জিনিস সৃষ্টি করছি। কিন্তু মৃত মানুষের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করতে আমরা আজও শিখিনি। এই কাজটি পারে একমাত্র ঈশ্বর। প্রান সঞ্চার করা তারই কাজ। তাই মা-বাবাই মানুষের জীবন্ত ঈশ্বর। অন্য কোনও সৃষ্টিতে ঈশ্বরকে আমরা দেখতে পাই না। কিন্তু জীবন সৃষ্টিতে ঈশ্বরকে আমরা দেখতে পাই মা-বাবা এই দুটি সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে। মা বাবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল থাকুক এটা আমরা সকলেই চাই। কিন্তু অনেক সময় এই সম্পর্কেও কিছু সমস্যা এসে যায়, জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী এর জন্য কোন গ্রহ দায়ী তা জাতকের জন্মছক দেখে বলা যায়।
দেখে নেব গ্রহের কোন অবস্থানে এমন হয়
১) জ্যোতিষ শাস্ত্রে দেখা যায় যাঁদের ছকে চতুর্থপতি খুব শক্তিশালী, নবম পতি খুব ভাল অবস্থায় আছে, তাঁদের গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান যদি চতুর্থ, নবম, একাদশ ও পঞ্চমের সংযোগে থাকে তা হলে এটা বোঝা যায় যে মা-বাবার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক খুব সুন্দর থাকবে।
২) যদি চতুর্থ বা নবমের সঙ্গে কেতু-রাহু, শনি সম্পর্ক তৈরি করে এবং তৃতীয়, অষ্টম, দ্বাদশ এই সংযোগে থাকে সে ক্ষেত্রে মা-বাবার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।
৩) কিন্তু গ্রহ, নক্ষত্রের অবস্থান খুঁটিয়ে না দেখে একদমই বলা ঠিক নয় যে আপনার সন্তান আপনাকে দেখবে না। গ্রহের দৃষ্টি, ডিগ্রি, অবস্থান ঠিক মতো বিচার করে তবেই ফলাদেশ দেওয়া উচিত।
৪) জ্যোতিষ মতে বিচার করলে আগাম জানা যায় ভবিষ্যতের কথা, কিন্তু তার উপর ভিত্তি করে, নিজের মনঃচক্ষু বন্ধ করে মা-বাবার প্রতি অমানবিক হওয়া একদমই উচিত নয়। ছকে কোনও কিছু খারাপ থাকলে সেটার প্রতিকার করে নিয়ে, জীবন্ত ঈশ্বরের (মা-বাবার) আশির্বাদ নিয়ে চলাই সবথেকে ভাল।