গণেশজির আর একটি রূপ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। ময়ূরের উপর গণেশজি বসে আছেন। গণেশজির এই রূপকে ময়ূর-গণেশ বা ময়ূরের গণেশ বলা হয়।
যে সব ব্যবসায়ীর ব্যবসা চলছে না বা ব্যবসায় অনেক ঋণ হয়ে গিয়েছে বা আপনি দেখছেন আপনার ব্যবসা চলছে কিন্তু আপনার মনের মতো লাভ পাচ্ছেন না। অথবা আপনার ব্যবসার আরও উন্নতি বা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করছেন, তা হলে এই ময়ূর গণেশের পূজা করুন। যে কোনও শুক্লপক্ষের চতুর্থীর দিন, ১ বৈশাখ অথবা অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ময়ূরের গণেশজির পুজো শুরু করুন।
অনেক ব্যবসায়ী আছেন যাঁরা ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন ভাবছেন, কিন্তু সঙ্গে লোকসানের কথা ভাবছেন বা ঋণ শোধের চিন্তায় পিছিয়ে যাচ্ছেন। এরূপ হলে মনে জোর রাখুন এবং ময়ূর গণেশজির পূজা করে ব্যবসা শুরু করুন। দেখবেন, আপনি অবশ্যই সাফল্য পাবেন। এ ছাড়াও অনেকে আছেন যাঁরা দরিদ্র, পীড়িত। প্রচুর ঋণের জ্বালায় জর্জরিত অথবা অসহায় হয়ে পড়েছেন। তা হলে ওই ময়ূরের গণেশজির পূজা করুন। সাফল্য পাবেন। কিন্তু এই পূজায় একটি বিশেষ নিয়ম আছে যা আপনাকে পর পর ৪০ দিন করতে হবে। যদি দেখেন, প্রতি দিন দোকান খোলা সম্ভব নয়, তা হলে এই পুজো ঘরে শুরু করুন। নিজের ঘরে যদি কোনও কারণে পুজো না করে উঠতে পারেন, তা হলে আপনার বাড়ির অন্য লোককে এই পুজো করতে বলতে পারেন।
এখন দেখে নেওয়া যাক ময়ূর-গণেশজির পুজো কী ভাবে করবেন:
দোকান বা ঘরে ঠাকুরের আসনে ময়ূরের গণেশজির ছবি বা মূর্তি রাখুন। মূর্তির তলায় সাদা কাপড় রাখুন। অল্প রোলি ছিটিয়ে দিন, অল্প মৌলি দিয়ে দিন। রোলি ও মৌলি দশকর্মা ভাণ্ডারে পাওয়া যায়। কয়েকটা দুর্বা ওঁকে দিন। ধূপ ও দীপ জ্বালান। প্রদীপের তলায় আতপ চাল দিন। ভোগে অবশ্যই লাড্ডু দেবেন।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী গণেশ মন্ত্র পাঠ করুন, সমস্যার সমাধান হবে
আপনি ৪০টি পৈতে কিনুন। পৈতেগুলো দিয়ে ভাঁজ করে ছোট করে একই মাপের ৪০টি মালা বানিয়ে নিন। এ বার ধূপ ও দীপ দেখাবার পর গণেশজিকে একটি পৈতের মালা পরিয়ে দিন। বাকিগুলো রেখে দিন। নিজের মনস্কামনা বলুন। এর পর ‘ওঁ গং গণপত্যায় নমঃ’ এই মন্ত্র ১০৮ বার বলুন।
এই ভাবে প্রতি দিন, অর্থাৎ পর পর ৪০ দিন গণেশজির গলায় পৈতের মালা পরিয়ে যান। মালাগুলো ওঁর গলাতেই থাকবে, কোনও ভাবেই খুলবেন না। এ ভাবে টানা ৪০ দিন ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে গণেশজির পুজো করুন। দেখবেন, আপনি অবশ্যই সাফল্য পাবেন। পরের বছর আবার নতুন করে পুজো করুন এবং পুরনো পৈতের মালাগুলো জলে বিসর্জন দিয়ে দিন।