ভূত নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। কেউ ভূত বলে কিছু আছে তা আদৌ বিশ্বাস করে না, আবার কারও কাছে ভূত রক্তমাংস মানুষের মতোই জীবন্ত। আমরা বলি, ভূত একটা অশরীরী সত্ত্বা যাকে সহজে চোখে দেখা যায় না কিন্তু এর কার্যকলাপ অনুভুতির সাহায্যে সহজে বোঝা যায়। যারা ভূত নিয়ে চর্চা বা গবেষণা করেন, তারা নানা ধরনের ভূতের কথা বলে থাকেন। যেমন, ডেভিল, স্পিরিট, ডেমন, ইত্যাদি। এদের প্রত্যেকের ক্রিয়াকলাপ আলাদা। আমাদের মধ্যে ১২ শতাংশ মানুষ কম বেশি ভূতের দ্বারা নানা ভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এ বারে আমরা জানব জন্মছকে কী ধরনের কম্বিনেশান থাকলে জাতক/জাতিকারা ভূতের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে—
(১) যাদের চন্দ্র খুব নীচস্থ এবং কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর চন্দ্র যা অন্য কোন কুপিত গ্রহ দ্বারা আক্রান্ত, তারা সহজে ভূতের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে।
(২) যদি কারও রাহু দ্বাদশে অবস্থান করে এবং রবি বা চন্দ্র দ্বারা দৃষ্ট হয়, তবে সেই জাতক/জাতিকা অন্য ডায়মেনশন বা মাত্রার কোনও সত্ত্বাকে সহজেই দেখে থাকে।
(৩) যদি কারও রাহু দ্বাদশে থাকে, চন্দ্র বা রবি সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায়, তা হলে সেই জাতক/জাতিকা ভূতের উপদ্রবে থেকে থেকেই আক্রান্ত হবে।
(৪) যদি কোনও জাতক/জাতিকার অষ্টম/দ্বাদশ ভাব রাহু, মঙ্গল এবং চন্দ্র দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে, তা হলে তারা সহজেই দুষ্ট আত্মা দ্বারা আক্রান্ত হবে।
(৫) শনি দ্বাদশে থাকা মানেই এই জাতীয় অশরীরী সত্ত্বা দ্বারা কম বেশি আক্রান্ত হওয়া বোঝায়।
(৬) যদি শনি এবং রাহু আলাদা ভাবে বা উভয়ে কোয়াড্রেন্ট অবস্থায় থাকে, তা হলে জাতক/জাতিকা কম বেশি ভূতগ্রস্থ ব্যক্তি হবে।
(৭) শনি-চন্দ্র বা শনি-রাহু কোনও জাতক/জাতিকার জন্মছকে দ্বাদশে থাকে, সেই জাতক/জাতিকা কম বেশি ভূতের দ্বারা আক্রান্ত হয়।